পুজোতেও বাঘ খুনের ছায়া।
জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি বাঘ। তীর ধনুক, বল্লম নিয়ে বাঘকে মারতে উদ্যত কয়েকজন। তাদের বাধা দিচ্ছেন এক গ্রামবাসী। সামনে ব্যানারে লেখা—‘এই অরণ্য তো আমার জন্মভূমি, আমাকে বাঁচতে দাও’। গোয়ালতোড়ের হুমগড় সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এ বার মডেলের মাধ্যমে এ ভাবেই দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছিল কয়েকদিন আগের বাঘ-কাণ্ড। মণ্ডপের সামনেই দাঁড়িয়ে বাঘের মডেল। আর তাকে দেখতেই প্রথম দিন থেকে মণ্ডপে ভিড় উপচে পড়ে। পুজো শেষ হয়েছে। কিন্তু শনি ও রবিবার মডেল দেখতে ভিড় কমেনি হুমগড়ে।
পুজো কমিটির সম্পাদক রাজশেখর পণ্ডা বলেন, ‘‘বাঘ বাঁচাতে মানুষকে সচেতন করতে আমরা একটা মডেল করেছিলাম। সেটার টানে যে এত দর্শক আসবে ভাবিনি। পুজোর সময় তো বটেই, তারপর শনিবার ও রবিবারও বাঘ দেখতেই বহু মানুষ এসেছে।’’ গড়বেতা ২-এর বিডিও স্বপনকুমার দেব মণ্ডপে এসে বাঘ-কাণ্ডের মডেল দেখে প্রশংসা করে বলেন, ‘‘সম্প্রতি বাঘ নিয়ে গোয়ালতোড়ে প্রচুর হইচই হয়েছে। তাই বাঘের প্রতি মানুষের আকর্ষণ আছেই। তা ছাড়া উদ্যোক্তারা বন্যপ্রাণী নিয়ে সচেতনতার বার্তাও দিয়েছেন, এটা ভাল দিক।’’