ফের হেলমেট না পরে বাইক চালানোর মাসুল দিলেন তিনজন। কালীপুজোর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন মোটরবাইক আরোহী যুবকের। শনিবার রাতে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন ছাই খাদানের কাছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সুরজিৎ হাজরা (৩০), মানব মণ্ডল (২৮) ও স্পন্দন জানা ( ১৯) তমলুকের খারুই গ্রামের বাসিন্দা। স্পন্দন কোলাঘাট কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। সুরজিৎ ফুল সাজানোর কারিগর ও মানব একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘কোলাঘাটের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। তিনজনই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খারুই গ্রামের ওই তিন যুবক বাইক নিয়ে মেচেদা এলাকায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। তিনজনেরই মাথায় হেলমেট ছিল না। কোলাঘাটের ছাইখাদানের কাছে একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে বাইকটির। সড়কের উপর ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই সুরজিৎ ও মানবের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সড়কের ধারে ছিলেন স্পন্দন। দুর্ঘটনার পর ওই লরি চালক পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। পরে ওই সড়কে টহলরত কোলাঘাট থানার পুলিশ গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক মানব ও সুরজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করে। জেলা হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান স্পন্দনও।
শনিবার রাতেই হলদিয়ার হেলিপ্যাড ময়দানের কাছে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দীপক মান্না(৪০) নামে এক ব্যক্তির। তিনি টাউনশিপের কল্লোল হাউসিংয়ের বাসিন্দা।
অন্য দিকে, রবিবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ কোলাঘাটের মেচেদা বাজার সংলগ্ন পেট্রোলপাম্পের কাছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে ছোট লরির ধাক্কায় দু’জন আহত হয়েছেন। বছর চল্লিশের প্রদীপ দাস ও তাঁর চোদ্দো বছরের মেয়ে মিষ্টি দাস পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পরে পালানোর চেষ্টা করা ওই লরি চালককে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। ক্ষুদ্ধ জনতা লরিটিতে ভাঙচুর চালায়। পরে লরি চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিনই মেচেদার শান্তিপুরের কাছে বাসের ধাক্কায় জখম হয়েছেন এক সাইকেল আরোহী। উত্তেজিন জনতা বাসে ভাঙচুর চালায়।