গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়িয়ে দলকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে এ বার পুরস্কার ঘোষণা করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল!
যে ব্লকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকবে না, যেখানে দলীয় কর্মসূচি গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হবে, সেই ব্লকের সংগঠনই ওই পুরস্কার ছিনিয়ে নেবে বলে শুক্রবার ঘোষণা করলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি। তবে, কী পুরস্কার দেওয়া হবে, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা ছাড়াও সিদ্ধান্ত হয়, এ বার থেকে কোনও ব্লক বা অঞ্চলের নেতারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও নেতা-কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করতে পারবেন না।
জেলা সভাপতির কথায়, “যে ব্লকের সংগঠন সব থেকে ভাল ভাবে চলবে, সেই ব্লকের দলীয় সভাপতির হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। তারই সঙ্গে যেখানে দলের তরফে নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি হবে, সেখানকার সংগঠনকেও পুরষ্কৃত করা হবে। এরই পাশাপাশি কেউ দোষ করলে বহিষ্কারের বিষয়টি দলের জেলা কমিটি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে স্থির করবে।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সকলের জানা। তার জেরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মৃত্যু, বাড়িতে লুঠপাট, অগ্নিসংযোগ— কোনও ঘটনাই বাদ যায়নি। সম্প্রতি অজিতবাবুকে দলের জেলা সভাপতি পদে বসানো হয়। কিন্তু তাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পুরোপুরি সামাল দেওয়া যায়নি। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে দল বেঁধে দলীয়-সমর্থকেরা জেলা সভাপতির কাছে এসে দলেরই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছেন। দলে মর্যাদা না পাওয়ার কথা বলছেন। তাই এ বার পুরস্কার ঘোষণা করে সেই দ্বন্দ্ব সামলানোর চেষ্টা করছেন অজিতবাবু। দলের কেউ কেউ মনে করছেন, এই টোপে অন্তত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়ানো যাবে। তৃণমূলের এক জন জেলা নেতার কথায়, “সকলের সামনে থেকে এমন একটা পুরস্কার নেওয়ার লোভে কিছুটা ইতিবাচক সাড়া তো পড়বেই। তা ছাড়া, পুরস্কারের কথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও পৌঁছবে। এ সুযোগ কে না নিতে চাইবে!’’ মহরম এবং দুর্গাপুজোর আগাম শুভেচ্ছা জানাতে ১ অক্টোবর মেদিনীপুর শহরে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। সে দিন মিছিল শেষেই ওই পুরস্কার বিলি হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy