শিবরাত্রির পুজোয় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
সাতসকালেই শুরু হয়ে যাবে পুরভোটের গণনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিষ্কার হবে কার ভাগ্যে শিঁকে ছিড়ছে ‘অধিকারী গড়’ কাঁথিতে। তবে বুধবার ভোট গণনার আগের দিন মঙ্গলবার কাঁথিতে নিজেদের জয় নিয়ে যখন নিশ্চিত তৃণমূল, তখন ওই সন্ধ্যায় বিজেপি নেতা শুভন্দু অধিকারী রাস্তায় নেমে ভোটে তৃণমূলের কারচুপির অভিযোগে মিছিল করে গেলেন। গেরুয়া শিবিরের কোনও নেতাকেই জয় নিয়ে এ দিন তেমন উচ্চবাচ্য করতে শোনা গেল না।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুর খাসতালুক কাঁথিতে পুরভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস ও ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। শুভেন্দুর ভাই তথা বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা গড়িয়েছে। এমন আবহে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাঁথির ক্যানাল পাড় থেকে বড় ডাকঘর পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। সেই মিছিলের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু। পরে একটি পথসভা থেকে তিনি শাসকদলকে পুরভোটে সন্ত্রাসের জন্য দায়ী করে আক্রমণ শানান।
শুভেন্দু বলেন, ‘‘পুলিশের কোলে চেপে বহিরাগতরা শহরে ঢুকে ছিল। পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক এবং তৃণমূল নেতা তরুণ জানাকে র্যা ফের পোশাক দেওয়া হয়েছিল। একটা টিপসই দিয়েই ৪০টা করে ভোট দেওয়া হয়েছে। আবার কোথাও ভোট কর্মীদের দিয়ে সই করিয়ে সেই কাগজপত্র মহকুমাশাসকের দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। সব তথ্য প্রমাণ আমার পেয়েছি।’’
কাঁথি পুরভোট নিয়ে হাইকোর্টে মামলার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘শহরের ৯৭টি সিসি ক্যামেরা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। কখনও বলা হয়েছে সেগুলি খারাপ হয়ে গিয়েছে। শহরের সমস্ত সিসি ক্যামেরা এবং ভোটের কাগজপত্র উপযুক্তভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে বলা হয়েছে।’’ ভোট গণনার পরে শহরে অশান্তির আশঙ্কা করে কাঁথিবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু।
গণনার আগে অধিকারী গড়' দখলের ব্যাপারে পুরোপুরি আশাবাদী ঘাসফুল শিবির। কোন কোন ওয়ার্ডে তারা জিতবে, সেই অঙ্ক কষতে ব্যস্ত শাসক দলের নেতারা। ২১ টি ওয়ার্ডে র মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডে শাসক দলের প্রার্থীরা জয়ী হতে পারেন বলে তৃণমূলের অনুমান। তবে কোনও কোনও সূত্রে, ১৯-২০টি ওয়ার্ডে তৃণমূল জয়ী হবে বলে দলীয় স্তরে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলার পুরসভা নির্বাচনে কমিটির আহ্বায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘‘পুর বোর্ড গঠন করছি আমরা। তবে শেষ পর্যন্ত কত ওয়ার্ডে আমার জন্য কালকে স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy