Advertisement
E-Paper

পূর্বে তৃণমূলের অবস্থান-বিক্ষোভ

শুভেন্দু বলেন, ‘‘জনবিরোধী এই দুটি আইন কিছুতেই মেনে নেওয়া যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কখনও এই আইন বলবৎ হতে দেবে না। মানুষে মানুষে বিভেদের রাজনীতি করে না তৃণমূল।’’

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:০১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় শনিবার জেলা জুড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করল তৃণমূল। নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ে তৃণমূলের তরফে অবস্থান-বিক্ষোভ হয়। সেখানে হাজির ছিলেন হাজির ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ওই দুটি আইনের নিন্দা করেন।

শুভেন্দু বলেন, ‘‘জনবিরোধী এই দুটি আইন কিছুতেই মেনে নেওয়া যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কখনও এই আইন বলবৎ হতে দেবে না। মানুষে মানুষে বিভেদের রাজনীতি করে না তৃণমূল।’’ পরিবহণ মন্ত্রীর কথায়, ‘‘বিজেপি সরকার দেশে ধর্ম নিরপেক্ষতার আদর্শকে ভাঙতে চাইছে। ভারতকে বিভক্ত করতে চাইছে। আমরা তার বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই চালিয়ে যাব আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বে।’’ উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই নতুন আইন বলবৎ হতে দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন।

নন্দীগ্রামের অবস্থান বিক্ষোভ ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রাম ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি আবু তাহের, নন্দীগ্রাম বিধানসভার তৃণমূলে চেয়ারম্যান মেঘনাথ পাল প্রমুখ।

কাঁথি শহরে অবস্থান-বিক্ষোভ কমর্সূচিতে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। চৌরঙ্গী মোড়ে ওই কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন শিশির। রামনগর বাজারে আয়োজিত কর্মসূচিতে ছিলেন বিধায়ক অখিল গিরি, রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র প্রমুখ।

মহিষাদলেও বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। তবে সেখানে ছিলেন না স্থানীয় বিধায়ক সুদর্শন ঘোষদস্তিদার। এ নিয়ে দলের একাংশের অভিযোগ, মহিষাদল তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তিলক চক্রবর্তীর সঙ্গে কোন্দলের জেরে সুদর্শন অনুষ্ঠানে যাননি। যদিও বিধায়ক বলেন, ‘‘অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি।’’ তিলককে ফোন করা হলে তিনি কোনও উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেন।

এ দিন বিক্ষোভ হয়েছে কর্মসূচি হয়েছে এগরা ত্রিকোণ পার্কে। সেখানে ছিলেন এগরা বিধায়ক সমরেশ দাস, পুরপ্রধান শঙ্কর বেরা। পটাশপুর বাঙ্গুচক মোড়ে ছিলেন বিধায়ক জোতির্ময় কর। ভগবানপুরে মাধাখালিতেও বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ হয়েছে, তমলুক শহর, নন্দকুমার। চণ্ডীপুর বাজার এবং ময়নাতেও। তমলুকের বিক্ষোভে ছিলেন পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন। নন্দকুমার, চণ্ডীপুরে ময়নায় ছিলেন তৃণমূলের তিন বিধায়ক সুকুমার দে, অমিয় ভট্টাচার্য এবং সংগ্রাম দোলুই।

Citizenship Amendment Act CAA TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy