Advertisement
E-Paper

পদ যেতেই ফেসবুকে সরব নেতা

পুরনো কর্মীদের সম্মান দেওয়ার বার্তা বারবার দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০৬:২৪
ফেসবুকে পার্থপ্রতিম দাসের সেই পোস্ট। নিজস্ব চিত্র

ফেসবুকে পার্থপ্রতিম দাসের সেই পোস্ট। নিজস্ব চিত্র

পুরনো কর্মীদের সম্মান দেওয়ার বার্তা বারবার দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্যপদ থেকে দলের পুরনো এক নেতার বাদ পড়াকে কেন্দ্র করে শাসক দলের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত খেজুরিতে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মাথাচাড়া দিল।

বাদ পড়ায় ওই নেতা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এর জন্য পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান হিসাবে খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলকেই দায়ী করেছেন তিনি।

অতীতেও একাধিকবার পার্থ ও রণজিৎ শিবিরের মধ্যে বিভাজন প্রকট হয়েছিল। জেলা তৃণমূলের একাংশের দাবি, ২০১১ সাল থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে পার্থবাবুর নাম বিবেচনায় থাকলেও, শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়। দলের টিকিট পান অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি রণজিৎ মণ্ডল। তা ছাড়া খেজুরি-১ ও ২ ব্লকের একাধিক পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে টানাপড়েন নিয়েও ওয়াকিবহাল জেলা নেতৃত্ব। যে কারণে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার্থ অনুগামীদের টিকিট দেওয়ায় অনীহা ছিল রণজিৎ শিবিরের। পরে অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে জেলাপরিষদে টিকিট পান পার্থবাবু। জিতে পুনরায় স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষও হন তিনি।

তবে কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য হিসেবে সরকারি প্রতিনিধি তালিকা থেকে শাসক দলের পুরনো এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় তৃণমূলের একাংশ ক্ষুব্ধ। সরাসরি নাম না করা হলেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে দলের অপেক্ষাকৃত ‘নব্য’ সৈনিক তথা খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়া নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পার্থবাবু। তাঁর দাবি, ‘‘বিধায়ক এটা অনুচিত কাজ করেছেন। এ ভাবে পরিচালন সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হবে কখনও ভাবিনি।’’

এ প্রসঙ্গে খেজুরি-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি লুতফর রহমান জানান, পরিচালন সমিতিতে কে থাকবেন দলীয় স্তরে তা আলোচনা হয় না। তবে, নতুন পরিচালন সমিতি গঠন হয়েছে শুনেছি।

যদিও অভিযোগ নিয়ে রণজিৎবাবুর বক্তব্য, ‘‘কলেজ পরিচালন সমিতিতে সরকারি প্রতিনিধি কারা থাকবেন, তা দলীয় নেতৃত্ব ঠিক করেন। তা ছাড়া, নির্দিষ্ট কেউ সব সময় ক্ষমতায় না থাকতেই পারেন। এই নিয়ে বিতর্কের কিছুই নেই।’’

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজ পরিচালন সমিতিতে সরকারি প্রতিনিধি কারা থাকবেন, তা ঠিক করে দল। সেই মত তালিকা উচ্চ শিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়। এ বার পার্থবাবুর জায়গায় শিক্ষক নেতা শ্যামল বাখড়ার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তাতে সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য সরকার।

আর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্যপদ থেকে কেন পার্থবাবুকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা তিনিই ভাল জানেন। ওঁকে প্রশ্ন করলেই তার উত্তর পাওয়া যাবে।’’

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পার্থবাবু যে ভাবে নিজের ক্ষোভ জানিয়েছেন তাতে অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Conflict TMC Khejuri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy