Advertisement
E-Paper

দলনেত্রীর নিদানেও দ্বন্দ্ব, পণ্ড একুশের প্রস্তুতি  

রবিবার বিকেলে ক্ষীরপাই ব্লক তৃণমূলের দীর্ঘ দিনের গোষ্ঠী কোন্দল আবার সামনে এল। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছল যে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকই ভেস্তে গেল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০০:৩৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ভোটে ধাক্কা এসেছে। সংগঠন মেরামতে বারবার ঘরের কোন্দল মেটানোর বার্তা দিচ্ছেন নেতারা। দ্বন্দ্বে দাঁড়ি টানার বার্তা দিয়েছে খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু শুনছে কে!

রবিবার বিকেলে ক্ষীরপাই ব্লক তৃণমূলের দীর্ঘ দিনের গোষ্ঠী কোন্দল আবার সামনে এল। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছল যে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকই ভেস্তে গেল।

তৃণমূল সূত্রের খবর, একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতিতেই রবিবার এক বৈঠক ডাকেন তৃণমূলের ক্ষীরপাই ব্লক সভাপতি চিত্ত পাল। বিকেল চারটেয় সভা শুরু হয়েছিল। ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলের নেতারা জড়ো হতে শুরু করেছিলেন। পরে অভিযোগ ওঠে, সভায় ডাকা হয়নি চিত্ত বিরোধী বলে পরিচিত ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সুজয় পাত্রকে। সেই নিয়ে বিরোধের জেরে সভা শেষমেশ ভন্ডুল হয়ে যায়।

ঠিক কী ঘটেছিল?

তৃণমূলের এক সূত্রের খবর, সভার শুরুতেই সুজয়ের অনুগামীরা ক্ষীরপাই টাউন হলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দলীয় সভাপতিকে অযোগ্য বলে মন্তব্য করে সভা বাতিল করার দাবি জানানো হয়। কেন সুজয় পাত্র-সহ সব পক্ষের নেতাদের সভার কথা জানানো হয়নি তার কৈফিয়তও চাওয়া হয়। লোকসভা ভোটের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো চিঠি বিলি নিয়েও বৈঠক আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। সুজয়ের অনুগামীরা সেই চিঠি নিয়ে টাউন হল থেকে ব্লক সভাপতিকেই বের করে দেন। তারপরই উত্তেজনা ছড়ায়।

ক্ষীরপাই ব্লকে সুজয় এবং গৌতম ভট্টাচার্যের অনুগামীদের কোন্দলের কথা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীরও অজানা নয়। গত সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা নেতাদের বৈঠকে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুই নেতার কোন্দল থামাতে উদ্যোগী হন বলে খবর।দুই নেতাকে হাতে হাত মেলানোর নির্দেশও দেন দলনেত্রী। তৃণমূলের অন্দরে চিত্ত পাল গৌতমের অনুগামী বলেই পরিচিত। রবিবার গোলমালের পরে গৌতমও টাউন হলে পৌঁছন। সভা বাতিল করা কেন তা নিয়ে হইচই করেন। ততক্ষণে সুজয়ের অনুগামীরা এলাকা ছেড়েছেন।

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি চিত্ত বলেন, “রবিবার দলের কর্মসূচি ভন্ডুল করে দিয়েছে সুজয়ের লোকজন। একুশে জুলাই নিয়ে প্রস্তুতি মিটিংও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি বিস্তারিত ঘটনা দলীয় নেতৃত্বকে লিখিত ভাবে জানাব।” সুজয়ের পাল্টা যুক্তি, “খোদ দলনেত্রী একসঙ্গে চলার কথা বারবার বলছেন। সেখানে চিত্ত পাল আমাকে বাদ দিয়েই সভা করছে। এটা কী করে হয়? তৃণমূল দলটা আমিও করি।”

এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দোলই এ নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি। আর তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “ক্ষীরপাইয়ের ঘটনা কানে আসেনি। খোঁজ নেব।”

TMC 21 july
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy