ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল পাঁশকুড়া কলেজ চত্বর। পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা জাইদুল খান এবং আনিসুর রহমানের অনুগামীদের মধ্যে লড়াইয়ের জেরে দু’পক্ষই অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার সন্ধ্যায় দু’দলের ছাত্র নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি দীপক দাস ও পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপ্তিকুমার জানা ।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের ছাত্র সংসদের ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ৬২ টি আসনের নির্বাচন হবে। কিন্তু আসনে বিরোধী হিসেবে বাম বা অন্য কোনও ছাত্র সংগঠন প্রার্থী না দিলেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুটি গোষ্ঠী আলাদাভাবে বেশ কিছু আসনে মনোনয়ন জমা দেয়। জাইদুল অনুগামীরা ৫২ টি আসনে, আনিসুর অনুগামীরা ২৮ টি আসনে প্রার্থী দেন। এই পরিস্থিতিতে জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে দুই গোষ্ঠীর উপস্থিতিতে বৈঠক করে রফা সূত্র বের করা হয় বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিধায়ক কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল বৈঠক। জাইদুল খানের অনুগামী তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীদের নিয়ে হাজির ছিলেন পাঁশকুড়া পুরসভার কাউন্সিলর শহিদুল খান ও আনিসুর অনুগামীদের নিয়ে ছিলেন সংগঠনের কলেজ ইউনিট সভাপতি শুভেন্দু ভক্তা। বৈঠকে আলোচনার পর রফা হয় কলেজের ছাত্র সংসদ প্রতিনিধি নির্বাচনে একটি আসনে জাইদুল ও আনিসুর দু’পক্ষের মধ্যে যে কোনও একজন প্রার্থী থাকবে। আর বাকি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
বৈঠকের কথা স্বীকার করে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি দীপক দাস বলেন, ‘‘পাঁশকুড়া কলেজে নিজেদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তা মিটে গিয়েছে। ওখানে প্রতিটি আসনে সর্বসম্মতভাবে একজন প্রার্থী থাকবে। বাড়তি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করা নেওয়া হবে।’’
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২১ টি কলেজের মধ্যে ১৯ টি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৫ টি কলেজে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বাকি চার কলেজেও ছাত্র সংসদের জয় নিশ্চিত করেছে তৃণমূল। হলদিয়া গভর্নমেন্ট কলেজ, তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরা গভর্নমেন্ট কলেজ, কাঁথি পি কে কলেজে বিরোধী ছাত্র সংগঠন ও পাঁশকুড়া কলেজে কিছু আসনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে মঙ্গলবার শহিদ মাতঙ্গিনী গভর্নমেন্ট কলেজে এসএফআইয়ের হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া ৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে সেখানেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy