সদ্য তৃণমূলে এসেছেন ব্লকের একঝাঁক কংগ্রেস নেতা। দলবদলের পরে ওই নেতাদের দেখা যাচ্ছে ধর্মঘট বিরোধী প্রচারে বা টিএমসিপি-র মিছিলে। নতুন দলে অনুগামীর সংখ্যা বাড়াতে কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে বৈঠকও চালাচ্ছেন ওই দলত্যাগীরা। আর তা ঘিরেই সবংয়ে নতুন ও পুরনো তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বেধেছে বিরোধ।
এক সময়ে সবংয়ের যে সব নেতা কংগ্রেসে থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতেন, তাঁরাই এখন ঘাসফুলের দলে। দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার ভাই কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অমল পণ্ডা, প্রাক্তন ব্লক সাধারণ সম্পাদক স্বপন মাইতি, আবুকালাম বক্স প্রমুখ। এঁদের সঙ্গে বিরোধ এখন তৃণমূলের সবং ব্লকের নেতা, জেলা কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির। অমূল্যবাবু কখনও এঁদের ‘নজরে রাখা’র কথা বলেছেন। আবার কখনও সমবায় নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পিছনে ‘অন্তর্ঘাত’-এর অভিযোগ তুলছেন।
সবং কলেজে ছাত্র খুনে অভিযুক্ত প্রায় সব নেতাই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসায় মামলার প্রসঙ্গ তুলেও বিঁধছেন একাংশ তৃণমূল নেতা। তাঁরা বলছেন, মামলা থেকে বাঁচতেই অমল পণ্ডারা তৃণমূলে এসেছেন। আবার তৃণমূল জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষের মত, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ নিয়ে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দর কষাকষি করতেই বিকাশ ভুঁইয়া, অমল পণ্ডাদের তৃণমূলে ঢুকিয়েছেন মানস ভুঁইয়া। সব মিলিয়ে শাসক দলে নতুন-পুরনো বিরোধ স্পষ্ট।
দলত্যাগী নেতারা যে কংগ্রেস কর্মীদেরও তৃণমূলে টানার চেষ্টা চালাচ্ছেন স্পষ্ট তা-ও। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা বলেন, “আমরা তৃণমূলে আসায় কংগ্রেসের অনেক কর্মীর মনে প্রশ্ন রয়েছে। সে সবের জবাব দিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের আমাদের পাশে চাইছি। তাঁদের তৃণমূলে যোগ দিতে বলছি। শুক্রবার থেকে তাই বৈঠক শুরু করেছি। শনিবারও চারটি অঞ্চলে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি।”
এই পরিস্থিতিতে নতুন-পুরনো বিরোধ মেটাতে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর এক বৈঠকে ডাক দিয়েছে তৃণমূল। সবং হাইস্কুলে হবে ওই বৈঠক। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকে সামনে রেখে আমরা ১৮তারিখ সবংয়ে বসব। ওই ব্লকে সদ্য যাঁরা দলে এসেছেন তাঁদের সঙ্গে পুরনো কর্মীরা যাতে একসঙ্গে চলেন সে কথা আগেই বলে দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজে কোথাও ফাঁক রয়েছে কি না দেখে পুরনো কর্মী সঙ্গে নতুন কর্মীদের একটা সমন্বয় করা হবে ওই বৈঠকে।”
তৃণমূলের সবংয়ের নেতা অমূল্যবাবুর বক্তব্য, “১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করছি। দলের কাছে নতুন করে কিছু পরীক্ষা দেওয়ার নেই। যাঁরা সদ্য দলে এসেছেন তাঁদের সঙ্গে একসময়ে সংঘাত ছিল। তবে তাঁরা যদি দলের আদর্শ মেনে কাজ করেন, তবে নিশ্চয়ই সমন্বয় সম্ভব।” আর সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা আবু কালাম বক্স বলেন, “আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে তৃণমূলে এসেছি। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy