কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী সোমনাথ বেরাকে দেখে সেখান থেকে চলে যেতে নির্দেশ দেন
চাকরি পাইয়ে দেওয়া, সরকারি প্রকল্পে উপভোক্তাদের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে পোস্টার পড়া থেকে আদালতে মামলা দায়ের—নাম জড়িয়েছে জেলার একাধিক তৃণমূল নেতার। নাম জড়িয়েছে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরারও।চাকরি দেওয়ার নামে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগে নন্দকুমারের এক ব্যক্তি সোমনাথের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন। সেই ঘটনায় তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব যে তাঁর উপর প্রবল ক্ষুদ্ধ তা টের পাওয়া গেল বুধবার দিঘায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের আগে।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে সমস্ত জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ-সহ সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি, বিধায়কদের ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, সাংসদ, রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বসার মঞ্চের সামনে নীচের প্রথমসারিতে বসেছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা-সহ বিধায়করা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আসার কিছু আগেই মঞ্চে থাকা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী সোমনাথ বেরাকে দেখে তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে নির্দেশ দেন দলীয় সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, দৃশ্যত ক্ষুদ্ধ শিশির কিছুটা উত্তেজিতভাবে সোমনাথকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে যান সোমনাথ। এরপর ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি তাঁকে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে পিছনের আসনে বসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু সোমনাথ বৈঠকস্থল ছেড়ে চলে যান বলে অভিযোগ।
ঘটনা প্রসঙ্গে শিশির বলেন, ‘‘বৈঠকে মঞ্চের সামনে বসার আসনের প্রথম সারি বিধায়কদের জন্য নির্ধারিত ছিল। সোমনাথ ওই আসনে বসায় ওঁকে সরে যেতে বলা হয়। পদ্ধতি মেনেই এটা করা হয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।’’ যদিও সোমনাথ বলেন, ‘‘আমি ওখানে বসতে যায়নি। এক বিধায়কের পাশে বসে কথা বলছিলাম। শিশিরবাবু কেন এরকম করলেন, উনিই বলতে পারবেন।’’ তবে ঘটনার পর অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়নি বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে সোমনাথের দাবি, ‘‘আমি শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে ছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy