চলছিল ‘বঙ্গধবনি যাত্রা’। সোমবার সেই কর্মসূচি থেকেই অভিযোগ উঠেছিল রেলের খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, খড়্গপুর-আদ্রা শাখায় ট্রেন চালু হলেও, দেওয়া হয়েছে একটি মাত্র লোকাল। বাকি সবই এক্সপ্রেস, সেই সঙ্গে গড়বেতা থেকে রাতে হাওড়া যাওয়ার ট্রেনের স্টপেজও তুলে দেওয়া হয়েছে। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ শুনে বঙ্গধবনি যাত্রার কর্মসূচির পর সোমবার রাতেই গড়বেতা স্টেশনে পৌঁছলেন গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী।
স্টেশন ম্যানেজারকে মানুষের অসুবিধার কথা জানানোর পাশাপাশি, স্টেশনে বসেই আদ্রা ডিভিশনে চিঠি লিখে অবিলম্বে এক্সপ্রেস ট্রেনের বদলে প্যাসেঞ্জার ও লোকাল ট্রেন বাড়ানো এবং রাতে গড়বেতায় চক্রধরপুর-হাওড়া ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। সোমবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ গড়বেতা রেলস্টেশনে পৌঁছন বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের আমলাগোড়া অঞ্চলের সভাপতি বিকাশ নাগ, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা নিমাই চন্দ্র, স্থানীয় ক্লাবের কর্মকর্তা বিনোদ সিংহ-সহ অনেকেই।
প্রসঙ্গত সোমবার থেকেই খড়্গপুর-আদ্রা শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পর ট্রেন চললেও, একটি মাত্র লোকাল ট্রেন দেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে। তা ছাড়া পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস থেকে অসংরক্ষিত কামরা তুলে নেওয়া ও চক্রধরপুর-হাওড়া, খড়্গপুর-আদ্রা, খড়্গপুর-আসানসোল ট্রেন তিনটিকে প্যাসেঞ্জারের বদলে মেল এবং এক্সপ্রেস করে দেওয়া হয়েছে। ফলে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েই এই সব ট্রেনগুলিতে চড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এ সবের ফলে প্রায় ন’মাস পর এই শাখায় ট্রেনের চাকা গড়ালেও, প্রথম দিন থেকেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে রেলযাত্রীদের মধ্যে।