Advertisement
E-Paper

বিধায়ককে বিঁধে পোস্ট দলেরই স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের

স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের অভিযোগ প্রসঙ্গে রণজিৎ বলেন, ‘‘ফেসবুকে উনি কী লিখেছেন, তা নিজের চোখে দেখে মন্তব্য করব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০ ০০:৪৩
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

জেলা রাজনীতিতে তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জোর জল্পনা চলছে মাসখানেক ধরে। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের আগে বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে আসছে। যেমন এসেছে শুক্রবারও। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে সরব হয়েছেন জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস।

পার্থ লিখেছেন, ‘আমার যখন বিধানসভাতে আর টিকিট পাওয়া হবে না, তখন এমন পরিবেশ তৈরি করব যাতে আর কেউ জিততে না পারে। তার প্রধান উদাহরণ খেজুরি অঞ্চল থেকে অটল প্রধান মহাশয়কে ছেঁটে ফেলা। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। ভগবানের নিকট প্রার্থনা করছি, এটা যেন দলের কাছে বুমেরাং না হয়’। পোস্টের কারও নাম উল্লেখ না থাকলেও এটি যে খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলকে কটাক্ষ করে করা হয়েছে, তা মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পরে অবশ্য সে কথা স্বীকারও করেছেন পার্থ।

উল্লেখ্য, খেজুরি-২ ব্লকের খেজুরি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে শাসকদলের পুরনো সংগঠক অটল প্রধানকে সম্প্রতি সরিয়ে দিয়ছে সংশ্লিষ্ট ব্লক তৃণমূল কমিটি। অভিযোগ, আগে অঞ্চলের কোর কমিটিতে অটলকে রাখা হলেও সাংগঠনিক কাজ কর্ম সক্রিয়ভাবে দেখাশোনা করতেন বিধায়ক এবং তার ভাইপো তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীম মণ্ডল। গত লোকসভা ভোটে ওই অঞ্চলে পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। এর পরেই অটলের বদলে বিধায়ক রণজিৎ নিজের ঘনিষ্ঠকে আসনে বসিয়েছেন বলে অভিযোগ। এতে বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে।

পার্থর কথায়, ‘‘অটলবাবুর সাংগঠনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে ওঁকে ব্লক সভাপতি করার প্রস্তাব জেলা নেতৃত্বকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই তাঁকে সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল বিধায়ক। এতে বিধানসভা ভোটের ফালফল দলের কাছে যাতে বুমেরাং না হয়ে যায়, সে জন্য সতর্ক করতেই সমাজ মাধ্যমে লিখেছি।’’

স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের অভিযোগ প্রসঙ্গে রণজিৎ বলেন, ‘‘ফেসবুকে উনি কী লিখেছেন, তা নিজের চোখে দেখে মন্তব্য করব।’’ আর যাকে সরানো নিয়ে বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের মধ্যে এই বিবাদ, সেই তৃণমূল নেতা অটল প্রধানের বক্তব্য, ‘‘১৯৭৭ সাল থেকে ডানপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন সামলাচ্ছি। তা সত্ত্বেও আমার সাংগঠনিক পদে কোনও লোভ নেই। কেউ ভাল মনে করেছেন বলে আমাকে সরিয়ে দিয়েছেন।’’

Politics Councilor TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy