মহাযজ্ঞের আগে রান্নার প্রস্তুতি। —নিজস্ব চিত্র
আয়োজন সারা। বিজেপির তৈরি ‘অশান্তি’ ঠেকাতে আজ, সোমবার চন্দ্রকোনার মেঠানি শম্ভুনাথ মন্দিরে তৃণমূলের উদ্যোগে হবে মহাযজ্ঞ। অনুষ্ঠানে লোক ভরাতে তৎপর তৃণমূল নেতৃত্ব। চন্দ্রকোনা জুড়ে মাইক হেঁকে চলছে প্রচার। পাশাপাশি ফ্লেক্স-ফেস্টুনে ভরে দেওয়া হয়েছে গোটা এলাকা। ফ্লেক্সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে। সঙ্গে বাংলা জুড়ে বিজেপি যে ‘অশান্তি’র পরিবেশ তৈরি করছে, তার বিরুদ্ধে শান্তিযজ্ঞে সবাইকে অংশগ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, আজ, সকাল ন’টায় কালিকাপুর ঝাঁকরা সড়ক লাগোয়া মেঠানি গ্রামের বারোয়ারি শম্ভুনাথ মন্দিরে হবে ওই মহাযজ্ঞ। মন্দিরটি এলাকায় বিশেষ জনপ্রিয়। প্রতি বছর গাজন উৎসবে বহু মানুষের সমাগম হয় এই শিব মন্দিরে। মহাযজ্ঞেও যাতে প্রচুর ভিড় হয়, সে জন্য সক্রিয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিশেষ করে এলাকার সব শ্রেণির মহিলাদের হাজির করাতে চাইছে তৃণমূল। চন্দ্রকোনা, ক্ষীরপাই, রামজীবনপুর-সহ আশপাশের এলাকাতেও ফ্লেক্স-ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রচার চলছে।
আজ প্রথমে এলাকার দু’শো মহিলাকে নিয়ে প্রথমে নির্দিষ্ট পুকুর থেকে জল এনে শিবের মাথায় ঢালা হবে। তার পর শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। শিব মন্দির লাগোয়া ফাঁকা মাঠে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামের মহিলা ও বয়স্কদের যাতে আসতে অসুবিধা নয় হয়, সে জন্য ছোট গাড়ি, টোটোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়েও আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
চন্দ্রকোনায় মূলত বিজেপির উত্থান ঠেকাতেই শান্তিযজ্ঞের বিষয়টিকে সামনে রেখে তৃণমূল জনসংযোগ সারতে চাইছে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। জানা যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার লোকজন নজরদারি চালাচ্ছেন। ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সদস্যদের উপস্থিতি নিয়েও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সব ব্রাহ্মণকে সংবর্ধনাও দেওয়া হবে। বস্তুত, পুরোহিতদের সংগঠনের জেলা শাখা ইতিমধ্যে বেসুরো গাইতে শুরু করেছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যাওয়ার পরে তারাও রাজীবের পথে যাওয়ার কথা বলছেন। পাশাপাশি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কী অবস্থা, তা-ও পরখ করে নিতে চাইছেন জেলা নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যে বিধানসভা এলাকার সব স্তরের নেতাকে যজ্ঞ আয়োজনে নির্দিষ্ট দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
তৃণমূলের এক সূত্রের খবর, আজ, অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত থাকার কথা মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির। তারপর সারা দিন ধরেই জেলার বিভিন্ন নেতারা হাজির থাকবেন। অজিত বলছেন, “চন্দ্রকোনার ওই অনুষ্ঠান ঘিরে স্থানীয়দের উৎসাহ প্রবল। মানুষের ঢল নামবে। সুষ্ঠু ভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দলের কর্মীরাও তৎপর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy