লক্ষ্য পর্যটন মানচিত্রে ঝাড়গ্রামের গুরুত্ব আরও বাড়ানো। সেই মতোই আজ, মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে পর্যটন দিবস পালনের জন্য বাছা হয়েছে অরণ্য শহর ঝাড়গ্রামকে। রবীন্দ্র পার্কে এই অনুষ্ঠানে থাকছে ‘শরতের আবহে পর্যটক রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক এক স্মারক বক্তৃতা, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।
জঙ্গলমহলের এই জেলায় পর্যটনের সম্ভাবনা প্রচুর। বেলপাহাড়ির ঘাঘরা, চিল্কিগড়, ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি, কুড়ুমবেড়া দুর্গ, লালজল, কাকড়াঝোড় থেকে মোগলমারি, হাতিবাড়ি, গনগনি প্রভৃতি এলাকায় বছরভর পর্যটকেরা আসেন। এ বার আরও বেশি পর্যটক টানতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো নতুন করে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার বক্তব্য, ‘‘ট্যুরিস্ট স্পটগুলো আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরুও হয়েছে।’’ জেলার পরিকল্পনা আধিকারিক সুমন্ত রায়ও জানান, পর্যটনের প্রসারে জেলায় সব রকম চেষ্টা চলছে।
মাস কয়েক আগে ঝাড়গ্রামে এসে পশ্চিম মেদিনীপুরে পর্যটনের প্রসারে আর কী কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো নতুন কিছু পরিকল্পনাও হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “নতুন করে কিছু পরিকল্পনা হয়েছে। নতুন কিছু বনবাংলো তৈরি হবে।’’ ইতিমধ্যে জেলার ট্যুরিস্ট স্পটগুলোকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে। এই তথ্যচিত্র পশ্চিম মেদিনীপুরের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ইউটিউবেও আপলোড করা হয়েছে।