নোটের চোটে তলানিতে ঠেকেছিল পর্যটন ব্যবসা। ফের টানা তিনদিনের ছুটি পেয়ে পর্যটকরা দিঘামুখী হওয়ায় হাসি হোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে।
শনি, রবি সঙ্গে সোমবার, টানা ছুটি আর বাঙালি ঘরে থাকবে তাও হয় না কি। তাই শীতের আমেজ উপভোগ করতে সৈকত শহর দিঘায় উপচে পড়ল পর্যটকদের ভিড়। শুক্রবার বিকেলের পর থেকেই দিঘায় পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করে। রবিবার দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে বলে দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক তপন মাইতি জানান, নোট বাতিলের পরে দিঘায় পর্যটকদের সংখ্যা রাতারাতি কমে গিয়েছিল। পরিস্থিতি সামলাতে দিঘার হোটেল-লজগুলি পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নেওয়া শুরু করে। পেট্রোল পাম্পে পুরনো ৫০০-১০০০ টাকার নোট নেওয়া বন্ধের নির্দেশ জারির দিন থেকে আমরাও দিঘার হোটেলে পুরনো নোট নেওয়া বন্ধ করেছি। ফের নতুন করে পর্যটকদের ভিড় জমানোয় স্বাভাবিকভাবেই হোটেল মালিকরা খুশি।
নোটের চোটে যখন নাজেহাল সকলে সেই সময় দিঘায় এত পর্যটকের ভিড় নিয়ে আশাবাদী নিউ দিঘার এক হোটেল মালিক সতীনাথ পাল জানান, পর্যটকরা নতুন নোট ছাড়াও ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আসছেন। নোট সমস্যার হাত থেকে পর্যটন ব্যবসা বাঁচাতে দিঘার প্রায় সমস্ত হোটেলেই কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকে নতুন দু’হাজার টাকার নোটও নিয়ে আসছেন। পর্যটক ও হোটেল মালিকদের কারও কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
ত্রিপুরার আগরতলার শিবনগর থেকে দিঘায় বেড়াতে এসে ওল্ড দিঘার একটি হোটেলে উঠেছেন রাজু বণিক। তিনি বলছেন, “বেশ কিছুদিন আগেই নতুন ৫০০ টাকার নোট পেয়েছি। শনিবার দিঘায় এসে সেই নতুন টাকা দিয়েই হোটেলও বুক করেছি। কোনও অসুবিধা হয়নি। তা ছাড়া সঙ্গে কার্ড তো রয়েছেই।” দিঘা ছাড়াও তাজপুর ও মন্দারমণির সৈকতেও রবিবার পর্যটকদের ভিড় ছিল ভালই। ভিড় বাড়ায় দিঘায় পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy