Advertisement
২১ মার্চ ২০২৩
digha

রবির বেলা গড়াতেই সমুদ্রে ঝাঁপ পর্যটকদের, জোয়ার শেষ হতেই আছড়ে পড়ল উচ্ছ্বাসের ঢেউ

ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় রবিবার থেকে সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল দিঘায়। ঘটনাচক্রে রবিবার সকাল থেকে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও, জোয়ারের পর সমুদ্র ছিল শান্ত।

ভাটায় শান্ত সমুদ্রে স্নান পর্যটকদের।

ভাটায় শান্ত সমুদ্রে স্নান পর্যটকদের। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দিঘা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৪৪
Share: Save:

জোয়ার শেষ হতেই দিঘার সমুদ্রতটে আছড়ে পড়ল পর্যটকদের উচ্ছ্বাসের ঢেউ। ছুটির আমেজে দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা প্রাণ খুলে ঝাঁপালেন সমুদ্রের জলে। নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাটে ধরা পড়েছে পর্যটকদের ভিড় এবং সমুদ্রস্নানের ছবি।

Advertisement

ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় রবিবার থেকে সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল দিঘায়। ঘটনাচক্রে রবিবার সকাল থেকে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও, জোয়ারের পর সমুদ্র ছিল শান্ত। ছুটির দিন হওয়ায় সৈকত শহরে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু পর্যটক। এমন পরিস্থিতিতে বেলা বাড়তেই পর্যটকরা ভিড় করেন সমুদ্রসৈকতে। বেলা বাড়তেই তাঁরা সমুদ্রে নেমে পড়েন। কেউ কেউ ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে কিছুটা দূরেও চলে যান। কর্তব্যরত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য এবং পুলিশকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন সৈকতে। তাঁরা লাগাতার টহলদারি চালাচ্ছিলেন। তবে ভাটার সময় পর্যটকদের কাউকে জলে নামতে বাধা দিতে দেখা যায়নি তাঁদের। দিঘায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা লেকটাউনের বাসিন্দা, পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তপোব্রত বসাক বলেন, ‘‘তিন দিনের জন্য দিঘা এসেছি। এসেই শুনলাম ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আজ সকাল থেকেই সমুদ্রে কাউকে নামতে দেওয়া হয়নি। তবে ভাটার টানে জল নামতেই সকলে স্নানে নেমেছেন। তা দেখে আমরাও জলে ঝাঁপালাম।’’

দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রস্নান।

দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রস্নান। — নিজস্ব চিত্র।

তবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস নিয়ে উৎকণ্ঠায় সকলেই। স্থানীয় আলোকচিত্রী থেকে ব্যবসায়ী, সকলের মধ্যেই ইয়াসের আতঙ্ক স্পষ্ট। এ বারও অমাবস্যার ভরা কটালের মধ্যেই সিত্রাংয়ের আছড়ে পূর্বাভাস হয়েছে।

বেলা বাড়তেই সৈকতে পর্যটকদের ভিড়।

বেলা বাড়তেই সৈকতে পর্যটকদের ভিড়। — নিজস্ব চিত্র।

রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শম্পা মহাপাত্র বলেন, ‘‘আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা হাতে নিয়েই সমস্ত প্রস্তুতি এগিয়ে রাখা হচ্ছে। সামুদ্রিক এলাকায় জলোচ্ছ্বাস নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সব রকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছি। যে জায়গাগুলোতে সমুদ্র বাঁধ দুর্বল সেগুলি দ্রুত মেরামতির কাজ চলছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.