তাঁবুতে রাত কাটানো, হেলিকপ্টার থেকে সমুদ্র দর্শন, বেলুনে চরকি পাক থেকে বিদেশি শিল্পীদের নাচ— বর্ষশেষের ক’দিন উৎসবে মাততে চলেছে বাংলার বেলাভূমি। আজ, বুধবার শুরু হচ্ছে ‘বাংলার সৈকত উৎসব’। ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি ও তাজপুরে উৎসব চলবে। ২৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বর আবার দিঘায় হবে ‘উইন্টার কার্নিভাল’।
বড়দিন ও বর্ষশেষে শীতের সৈকতে প্রতি বছরই নানা অনুষ্ঠান হয়। ঠাঁই নেই দশা হয় দিঘা-শঙ্করপুর-মন্দারমণির হোটেলগুলিতে। তবে এ বার উৎসবের পরিধি বড়। ফলে, ভিড় বাড়বে বলেই আশা। আর তাদের মনোরঞ্জনে রকমারি আয়োজন করছে রাজ্য সরকার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। পর্ষদের সভাপতি শিশির অধিকারীর কথায়, ‘‘উৎসবের সাজে মোহময়ী হয়ে উঠেছে দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি ও তাজপুর। পর্যটকদের সকলকে এই উৎসবে স্বাগত।’’
সৈকত উৎসবের প্রধান আকর্ষণ দিঘায় তাঁবুতে রাত কাটানোর ব্যবস্থা। স্টেট জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে সার সার তাঁবু তৈরি হয়েছে। মাঠ খোঁড়াখুঁড়ি নিয়ে বিতর্ক বাধলেও পর্যটকেদের অনেকেই তাঁবুতে থাকা নিয়ে উৎসাহী। হেলিকপ্টারে চড়ে সমুদ্রের মাথায় চক্কর দেওয়ার সুযোগও থাকছে। কুড়ি মিনিট ঘুরতে মাথাপিছু লাগবে ২ হাজার টাকা। থাকছে বেলুন রাইডিং, বিচ ম্যারাথন, বিচ ভলিবল, ঢাক বাজানোর প্রতিযোগিতা, ক্যুইজ ও ফুড ফেস্টিভ্যাল। সৈকত উৎসবের ম্যাসকট হল লাল কাঁকড়া ‘ক্র্যাবি’। বিপন্ন লাল কাঁকড়া রক্ষার বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ।
সৈকত উৎসবের ক’দিনই ত্রয়োদশ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বইমেলা ও হস্তশিল্প মেলার আসর বসছে দিঘার পুলিশ হলিডে হোম মাঠে। আর ২৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বর উইন্টার কার্নিভালের প্রধান আকর্ষণ হল দেশ-বিদেশের নানা ধরনের নাচ। ফায়ার ডান্স, ড্রাগন ডান্স, বেলি ডান্স, স্প্যানিশ ডান্সের পাশাপাশি কলকাতার সঙ্গীতশিল্পীরাও অনুষ্ঠান করবেন। থাকবে ডিজে নাইট।
উৎসবের ভিড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার থেকে শুধু দিঘাতেই অতিরিক্ত ২৪ জন নুলিয়া নামানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৫ জন মহিলা। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে কাজ করবেন এই নুলিয়ারা। ৮০ সদস্যের বিশেষ দল দিনে তিনবার সৈকত সাফাই করবে বলেও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। সঙ্গে থাকছে কড়া নজরদারি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘সৈকত ছাড়াও ওডিশা সীমানায় নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ পর্যটকদের সাহায্যে প্রস্তুত থাকছে ‘দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’ও। বিভিন্ন হোটেলের কর্মীদের নিয়ে গড়া হচ্ছে বিশেষ দল। হোটেল বুকিংয়ের সমস্যা বা বেশি ভাড়া নেওয়ার ঘটনা ঘটলে অভিযোগ জানানো যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy