নিশ্চল: ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে কংসাবতীর উপর বীরেন্দ্র সেতুতে যানজট। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
সেতুতে দু’টি লরির সংঘর্ষে মৃত্যু হল একজনের। আর তার জেরে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে থাকল বীরেন্দ্র সেতু। ভোগান্তিতে পড়লেন বাসযাত্রীরা।
ঘটনাটি মেদিনীপুরের। মেদিনীপুরের পাশে কংসাবতী নদীর উপর বীরেন্দ্র সেতু রয়েছে। মেদিনীপুর থেকে খড়্গপুর সড়কপথে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই সেতু। সেতুটির উপর দিয়ে চলে গিয়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বৃহস্পতিবার ভোরে এই সেতুর উপর দু’টি লরির সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়্গপুরের দিক থেকে মেদিনীপুরের দিকে স্টোনচিপস বোঝাই একটি লরি আসছিল। লরিটির টায়ারে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। লরিটি সেতুর উপরই দাঁড়িয়ে পড়েছিল। মেদিনীপুরের দিক থেকে খড়্গপুরের দিকে যাচ্ছিল বালি বোঝাই একটি লরি। দাঁড়িয়ে থাকা লরিটিতে সজোরে ধাক্কা মারে ওই লরিটি।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বালি বোঝাই লরির খালাসির। চালক গুরুতর জখম হন। মৃত খালাসি শেখ এক্রামুল হক (১৮)-এর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার সাহাপুরে। জখম চালকের নাম শেখ সারিফুল। বছর কুড়ির সারিফুলের বাড়ি সুতাহাটার ঢেকুয়ায়। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে।
অনেকের ধারণা, কুয়াশায় ভোরের দিকে দৃশ্যমানতা কম ছিল। তাই বালি বোঝাই চালক বুঝতে পারেননি যে সামনে একটি লরি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আবার অনেকের মতে, হতে পারে লরিটির চালক এবং খালাসি দু’জনেই ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। ফলে, অন্যমনস্কতার জন্যও দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সেতুর উপর দুর্ঘটনা ঘটায় যানজট দেখা দেয়। লরি দু’টিকে দ্রুত সরানোও যায়নি। ফলে সকালে যানজট তীব্র আকার নেয়। সেতুর দু’দিকে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক লরি, বাস। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই এলাকা। ততক্ষণে হাঁসফাঁস অবস্থা বাসযাত্রীদের। সকাল দশটার পরে যানজট কাটতে শুরু করে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনার কারণে তীব্র যানজটের মুখে পড়ে ওই এলাকা। জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের অবশ্য দাবি, ‘‘খুব বেশিক্ষণ যানজট হয়নি।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারের আশ্বাস, ‘‘মেদিনীপুরের ওই এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে যে পদক্ষেপ করার করা হবে।’’ এই সেতুতে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। সড়ক অবরুদ্ধ হয়। সেতুতে যানশাসন থাকে না বলেই অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy