সেতু দিয়ে যাতায়াত করছে যানবাহন। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই নতুন সেতুতে শুরু হয়ে গেল যান চলাচল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মহিষাদলের নতুন সেতু দিয়ে গাড়ি চলাতে শুরু করে। আর তাতেই কার্যত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন বাসিন্দারা।
২০১৩ সালের মার্চ মাসে নতুন সেতু নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ওই বছর অগস্ট মাসে শুরু হয়েছিল নির্মাণ কাজ। সেতু নির্মাণ শেষ করার নির্ধারিত সময়ের পর প্রায় চার মাস কেটে গিয়েছে। এতদিন তমলুক থেকে মহিষাদলগামী যানবাহন ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ঘুরপথে চলাচল করছিল।
পূর্ত দফতর (সড়ক)-এর তমলুক হাইওয়ে ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার চন্দন পাণিগ্রাহি জানান, ‘‘সেতুটি চলাচলের উপযোগী হয়ে গিয়েছে। তবে উদ্বোধনের বিষয়ে পূর্তদফতর থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। শুনেছি স্থানীয় বাসিন্দারা ওই সেতু দিয়ে চলাচল শুরু করে দিয়েছেন। তাতে অসুবিধা নেই।’’
মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী জানান, সেতুটি ইতিমধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত হয়ে গিয়েছে। ফলে এ দিনই যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার বেরা জানান, ‘‘এতদিন নির্মাণ কাজ চলায় কারণে আমাদের প্রায় ২০কিলোমিটার ঘুরপথে গাড়ি চালাতে হয়েছে। একই ভাড়ায় ঘুরপথে যাত্রীদের নিয়ে যাতয়াত করতে হচ্ছিল। ফলে বেশ কিছুটা আর্থিক সমস্যা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেতু চালু হয়েছে। এতে আমরা খুশি।’’
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মহিষাদল বাজারে পাঁশকুড়া-দুর্গাচক সড়কে হিজলি টাইডাল ক্যানালের ওপর থাকা সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল ছিল। ২০১২সালের জুন মাসে সেখানে নতুন সেতু তৈরির জন্য শিল্যানাস করে পূর্তদফতর। খরচ ধরা হয় প্রায় ৪ কোটি সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা। ২০১৩ সালের ১৯মার্চ সেতুটির নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ম্যাকিনটোস বার্ন লিমিটেডকে বরাত দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও ওই সেতুর কিছু কাজ বাকি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy