Advertisement
E-Paper

পুড়ছে ‘গ্রিন সিটি মিশনে’র গাছ

পুরসভা সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পে বহু চারাগাছ লাগানো হয়েছিল। গাছগুলি যাতে গবাদি পশু নষ্ট না করে দেয়, সে জন্য গাছের চার পাশে বাশের কঞ্চি দিয়ে ঘেরা দিয়ে মশারিও লাগানো হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০৬
পাঁশকুড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আবর্জনার আগুনে  পুড়ছে গ্রিন সিটি প্রকল্পের গাছ। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

পাঁশকুড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আবর্জনার আগুনে পুড়ছে গ্রিন সিটি প্রকল্পের গাছ। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

দূষণ মুক্ত পরিবেশ গড়তে রাজ্য সরকারের ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পে বহু টাকা খরচ করে লাগানো হয়েছিল চারা গাছ। আর্বজনার আগুনে সেই গাছ পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল পাঁশকুড়ায়।

পুরসভা সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পে বহু চারাগাছ লাগানো হয়েছিল। গাছগুলি যাতে গবাদি পশু নষ্ট না করে দেয়, সে জন্য গাছের চার পাশে বাশের কঞ্চি দিয়ে ঘেরা দিয়ে মশারিও লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডে দেখা গিয়েছে, রাস্তার পাশে ফেলা রাখা আবর্জনাতে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। আর সেই আগুনেই আঁচেই পুড়ছে সদ্য বড় হওয়া একাধিক চারা গাছ এবং গাছের চার পাশে থাকা মশারির জল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাছের লাগিয়েই ক্ষান্ত হয় পুরসভা। কিন্তু সেগুলির আদৌও দেখভাল হয় না। তার ফলে বড় হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে যায় বহু গাছ। কিন্তু রাস্তার পাশে এভাবে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কেন? কেনই বা তাতে আগুন লাগানো হচ্ছে? সে প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রায় ১৫ বছর আগে পুরসভার তকমা পেলেও নগরায়নের ছাপ এতটুকুও পড়েনি পাঁশকুড়া পুরসভায়। অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের জন্য আসে না পুরসভার গাড়ি। ফলে রাস্তার ধারেই গড়ে উঠেছে অস্থায়ী আস্তাকুড়। তাঁদের দাবি, শহরের মূল রাস্তাগুলি থেকে মাঝে মধ্যে আবর্জনা সংগ্রহ করা হলেও, ভিতরের রাস্তাগুলি থেকে পুরসভা আবর্জনা সংগ্রহ করে না।

লাগাতার রাস্তার পাশে আবর্জনা ফেলায় তা বিশাল আকার ধারণ করলে শহরের মানুষজনই তাতে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। দাবি, এই ভাবে আগুন ধরানোর ফলে শহর জুড়ে যেমন বাড়ছে দূষণের মাত্রা। তেমনই কখনও কখনও ওই আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে গাছ। পাঁশকুড়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর কল্যাণ রায় বলেন, ‘‘পুরসভা বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের কাজ না করায় মানুষ বাধ্য হয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে নষ্ট করে দেন। পুরসভার পরিকল্পনার ত্রুটির কারণেই এভাবে গাছ নষ্ট হচ্ছে। পুরসভার উচিত যাতে সরকারি টাকা নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ করা।’’

একই অভিযোগ পাঁশকুড়া পুরসভার অস্থায়ী ভ্যাট এলাকায়। ১ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা একটি জায়গায় অস্থায়ী ভাবে আবর্জনা ফেলে পাঁশকুড়া পুরসভা। জায়গাটি মেদিনীপুর ক্যানেলের একটি পাড় হওয়ায় ওই জায়গায় অনেকগুলা সোনাঝুরি গাছ রয়েছে। অভিযোগ, আবর্জনায় আগুন লাগানোর ফলে ওই গাছগুলিও পুড়ছে।

আবর্জনা ফেলা এবং ‘গ্রিন সিটি মিশনে’র গাছ আগুনে পুড়ে নষ্ট হওয়া প্রসঙ্গে পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র বলেন, ‘‘কারা এভাবে আবর্জনায় আগুন দিচ্ছেন এবং তাতে যদি গ্রিন সিটি মিশনের গাছ নষ্ট হয়ে থাকে, পুরসভা তা তদন্ত করে দেখবে।’’

Environment Pollution Air Pollution Plantation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy