একশো দিনের কাজে প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগে দায়ের করেছিল প্রশাসন। অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ফেরার থাকায় পঞ্চায়েতের মহিলা উপ-প্রধানকে প্রধানের দায়িত্ব দিয়েছিল প্রশাসন। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়েছেন মানসবাবু। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত ওই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধর সহ হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে বাদ পড়া পঞ্চায়েত প্রধান মানসবাবু সহ তাঁর অনুগামী কিছু দলীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার নন্দকুমার ব্লকের সাওড়াবেড়িয়া জালপাই-১ গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের ঘটনা। মানসবাবু সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নন্দকুমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ২ টা থেকে গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা বর্মন উন্নয়ন নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। ওই বৈঠকে সদ্য বাদ যাওয়া তৃণমূল প্রধান মানস হাজরা পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে ছিলেন। কিন্তু বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মানসবাবুর অনুগামী প্রায় ৪০-৫০ জন লোক জোর করে সেখানে ঢুকে পড়ে নমিতাদেবীকে ঘিরে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় মানসবাবু সহ তাঁর অনুগামীরা নমিতাদেবী প্রধানের চেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ও মারধর করে বলে অভিযোগ।
নমিতাদেবীর অভিযোগ, ‘‘এদিন উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক চলার সময় বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মানসবাবুর অনুগামী বেশ কিছু অফিসের ভিতরে জোর করে ঢুকে পড়ে। এসময় বৈঠকে থাকা মানসবাবু-সহ ওই লোকজন আমাকে জোর করে চেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ও মারধর করে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে মানসবাবু বলেন, ‘‘ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এদিন বৈঠক চলাকালীন বৃপ্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা পঞ্চায়েত অফিসে ত্রান চাইতে এসেছিলেন। ত্রান না পেয়ে তাঁরা প্রধানের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। আমি ওই তাঁদের দাবিকে সমর্থন করেছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy