Advertisement
E-Paper

এক মাস ধরে স্বামী খুনের ছক টুম্পার

বাবলুর স্ত্রী টুম্পার সঙ্গে মেদিনীপুরের টোটো চালক সোমনাথের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল মাস সাতেক আগে। বাবলু সে কথা জেনে যেতেই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৫
অভিযুক্ত: টুম্পা পোড়েল।

অভিযুক্ত: টুম্পা পোড়েল।

মাস খানেক ধরে ঠান্ডা মাথায় স্বামীকে খুনের ছক কষেছিল টুম্পা পোড়েল। প্রেমিক সোমনাথ ঘোষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পরে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে সে। চন্দ্রকোনার যুবক বাবলু পোড়েল খুনের তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।

বাবলুর স্ত্রী টুম্পার সঙ্গে মেদিনীপুরের টোটো চালক সোমনাথের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল মাস সাতেক আগে। বাবলু সে কথা জেনে যেতেই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষা হয়। এক তদন্তকারী মানছেন, “আচমকা স্বামীকে খুনের ছক কষেননি টুম্পা। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করেই এই ছক কষা হয়েছে। খুনের পরিকল্পনা মাস খানেক আগের। সপ্তাহ খানেক আগে মেদিনীপুরে এই ছক চূড়ান্ত হয়েছে।’’ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গত ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি টুম্পা মেদিনীপুরেই ছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করেন সোমনাথ। মেদিনীপুরেই খুনের ছক চূড়ান্ত হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

যে গাড়িতে বাবলুকে তুলে আনা হয়েছিল, সেটিরও হদিস পেয়েছে পুলিশ। রবিবারই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজ এখনও মেলেনি। ধৃতদের জেরা করে ওই অস্ত্রের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। এক তদন্তকারী বলেন, “প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে বাবলু খুনে ধারাল ছুরি ব্যবহৃত হয়েছে। ছুরিটি কোথায় রয়েছে তা দেখা হচ্ছে।’’ টুম্পা, সোমনাথ-সহ ধৃত পাঁচজনকে শনিবারই মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করে চারদিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। শীঘ্রই খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজ মিলবে বলে আশাবাদী পুলিশ।

এই ঘটনায় ফিরে এসেছে মনুয়া-কাণ্ডের ছায়া। গত ৩ জানুয়ারি কেশপুরের মুগবসানের ধানখেত থেকে বছর পঁয়ত্রিশের বাবলু পোড়েলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গোড়ায় অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবেই ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে পুলিশ জানতে পারে নিহতের নাম বাবলু পোড়েল, বাড়ি চন্দ্রকোনা শহরে। দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন, গলার কাছে ধারাল অস্ত্রের আঘাতেরও চিহ্ন থাকায় প্রাথমিক তদন্তেই পুলিশ নিশ্চিত হয়ে যায়, এটি খুনের ঘটনা। ওই যুবককে খুন করে দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে। পরে নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁর মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, ওই যুবককে খুনে তাঁর স্ত্রীও জড়িত।

টুম্পা ও বাবলুর বিয়ে হয় বছর ছয়েক আগে। তাদের ছেলেও রয়েছে। টুম্পার প্রেমিক, পেশায় টোটোচালক সোমনাথের বাড়ি মেদিনীপুরে। সোমনাথও বিবাহিত। এক মেয়ের বাবা। টুম্পা মেদিনীপুরে এলে টোটোয় যাতায়াতের সূত্রে সোমনাথের সঙ্গে আলাপ হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পরে এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যায় বাবলু। সম্পর্কের কথা জেনে ফেলাতেই স্বামীকে খুনের ছক কষেন টুম্পা ও সোমনাথ।

Tumpa Porel Babul Porel Murder case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy