বাজেয়াপ্ত সিমকার্ড। নিজস্ব চিত্র।
ভুয়ো সিম কার্ড চক্রের হদিস মিলল কেশপুরে। ঘটনায় দু’জনকে শনিবার সকালে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ধৃত আশিস দে-র বাড়ি কেশপুর ব্লকেরই ঝেঁতলায়। আর মুরসেলিম মল্লিকের বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের রামনগরে। ধৃতদের কাছে মিলেছে ১৫০টি ভুয়ো সিমকার্ড। এই সিম কার্ডগুলোর প্রত্যেকটাই ‘প্রি-অ্যাকটিভেটেড’ অর্থাৎ চালু। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শচীন মক্কর বলেন, “কেশপুরের ওই ঘটনার তদন্ত চলছে।” জেলা পুলিশের এক কর্তা মানছেন, “এই ঘটনা উদ্বেগের। কারণ, বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনায় এমন মোবাইল সিম ব্যবহার হয়।’’
পুলিশের এক সূত্রে খবর, শনিবার সকালে কেশপুর কলেজের সামনে গোপনেই ভুয়ো সিমকার্ড বিক্রি করছিল আশিস। এক সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় কেশপুর থানার পুলিশ। শুরুতে পুলিশ গিয়েছিল সাদা পোশাকে, গ্রাহক সেজে। পরে হাতেনাতে আশিসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ মেলে১০০টি ভুয়ো সিম। আশিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেলে মুরসেলিমের খোঁজ। রামনগরে হানা দিয়ে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। মুরসেলিমের কাছ থেকে আরও ৫০টি ভুয়ো সিম বাজেয়াপ্ত করা হয়। এ দিন দুপুরে ধৃত দু’জনকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
ভুয়ো সিম কার্ডের ব্যবহার ঠেকাতে ‘টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ সিম নেওয়ার সময় গ্রাহকের ছবি ও নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র জমা নেওয়া বাধ্যতামূলক। তাও চলছে ভুয়ো সিমের কারবার। কেশপুরে উদ্ধার হওয়া ‘প্রি-অ্যাকটিভেটেড’ সিম পুলিশি পরিভাষায় হল ‘ব্ল্যাক সিম’। পুলিশের এক সূত্র মানছে, এই ধরনের সিম-কার্ড কার হাতে পড়ছে, তার কোনও নথি থাকে না। ফলে, নির্দ্বিধায় দুষ্কৃতীরা তা ব্যবহার করে। তোলাবাজি, অপহরণ থেকে নাশকতার ছক, সবই হতে পারে এই সিম কার্ডে চালু মোবাইল দিয়ে। এ ক্ষেত্রে সিমের মালিকের খোঁজ চালিয়ে অপরাধীকে ধরাও সম্ভব নয়। তাই কেশপুরের ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। পুলিশের ধারণা, এর সঙ্গে বড় কোনও দুষ্টচক্র জড়িত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy