Advertisement
E-Paper

রেললাইনের ধারে বাবা-মেয়ের দেহ

রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল বাবা-মেয়ের দেহ। শনিবার রাতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম তরুণ গাঁতাইত (৫৪ ) ও রুনু সামন্ত (২৭)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১৬
ঘটনাস্থলে তখনও পড়ে রয়েছে জুতো। — নিজস্ব চিত্র।

ঘটনাস্থলে তখনও পড়ে রয়েছে জুতো। — নিজস্ব চিত্র।

রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল বাবা-মেয়ের দেহ। শনিবার রাতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম তরুণ গাঁতাইত (৫৪ ) ও রুনু সামন্ত (২৭)। পাঁশকুড়া জিআরপি থানার পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অনুমান রেললাইন পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী আপ খড়গপুরগামী ট্রেনের ধাক্কায় ওই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণবাবুর বাড়ি পাঁশকুড়া থানার হাউর এলাকার পুলশিটা গ্রামে। রুনুদেবীর শ্বশুরবাড়ি পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মধুসূদনবাড় এলাকায়। তরুণবাবু হাওড়ায় একটি কাগজের কারখানায় কাজ করতেন। রুনুদেবীর স্বামী রণদেব সামন্তের সোনার গয়নার সামগ্রী তৈরির দোকান রয়েছে তমলুক শহরে। সম্প্রতি ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যা কিছু সমস্যা তৈরি হয়। তা নিয়ে রণদেব কিছুটা মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন।

মেয়ের কাছ থেকে জামাইয়ের সমস্যার কথা জেনে তরুণবাবু শনিবার সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। সেই সময় রণদেব বাড়ির কাছেই পাঁশকুড়া স্টেশন বাজারে গিয়েছিলেন। পরে তরুণবাবু ও রুনুদেবীও স্টেশন বাজারে যান। অভিযোগ, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাজার থেকে তরুণবাবু ও রুনুদেবী বাড়ি ফেরার জন্য হেঁটে পাঁশকুড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের একশো মিটার পশ্চিম দিকে পুরনো প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিং পার হচ্ছিলেন। সেই সময় হাওড়া থেকে খড়্গপুরগামী আপ ট্রেনের ধাক্কায় তাঁদের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়েন তরুণবাবু ও রুনুদেবী। ঘটনাস্থলেই তাঁদের দু’জনের
মৃত্যু হয়।

রবিবার সকালে পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রেললাইনের পাশে তাঁদের দু’জনের জুতো পড়ে রয়েছে। কাছেই রেললাইনে রক্তের দাগও মোছেনি। স্থানীয় ব্যবসায়ী কমল পট্টনায়েকের দাবি, ‘‘শনিবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ সবে দোকান বন্ধ করেছি। সেই সময় হাওড়া-মুম্বই মেল চলে যাওয়ার পরেই জানতে পারি, ওই ট্রেনের ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কাছে গিয়ে দু’জনের মৃতদেহ পড়তে থাকতে দেখি।’’ রুনুদেবীর ১১ বছরের ছেলে সৌম্যদীপ বলেন, ‘‘সন্ধেয় দাদু বাড়িতে এসেছিল। সাড়ে ৮টা নাগাদ দাদুকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে যাচ্ছি বলে মা বেরিয়ে যায়। রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় খোঁজ করার সময় জানতে পারি মা আর দাদু মারা গিয়েছেন।’’

Panskura Rail Line Dead Body
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy