Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
লাঠিতে জখম ৩০

এসইউসি-র আইন অমান্যে ধুন্ধুমার

এসইউসি-র আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল মেদিনীপুরে। শুরুতে শহরের এলআইসি মোড়ের অদূরে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। দলের কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেই এগোনোর চেষ্টা করেন।

ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোতেই তেড়ে এল পুলিশ। মেদিনীপুর শহরে। — নিজস্ব চিত্র।

ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোতেই তেড়ে এল পুলিশ। মেদিনীপুর শহরে। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২৭
Share: Save:

এসইউসি-র আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল মেদিনীপুরে। শুরুতে শহরের এলআইসি মোড়ের অদূরে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। দলের কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেই এগোনোর চেষ্টা করেন। এসইউসির অভিযোগ, মিছিল আটকাতে দলের কর্মী- সমর্থকদের উপর পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। লাঠির ঘায়ে জখম হন কমপক্ষে ৩০ জন।

ফসলের ন্যায্য মূল্য, রেশনে ২ টাকা কেজি চাল-সহ সব প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান, নারী নিগ্রহ বন্ধ-সহ নানা দাবিতে জেলার সদর শহর মেদিনীপুরে আইন অমান্যের ডাক দিয়েছিল এসইউসি। এই কর্মসূচি ঘিরে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তাও অশান্তি এড়ানো যায়নি।

এসইউসির জেলা সম্পাদক অমল মাইতি বলেন, “সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় এ দিন মেদিনীপুর আইন অমান্যের ডাক দেওয়া হয়। পুলিশ-প্রশাসন পাঠিয়ে আক্রমণ করে। দলের আইন অমান্যে এ দিন নির্মম পুলিশি তাণ্ডব হয়েছে।’’ ঘটনার প্রতিবাদে আজ, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘ধিক্কার দিবস’ পালন করা হবে বলে অমলবাবু জানান। পুলিশ অবশ্য লাঠিচার্জের কথা মানতে চায়নি। জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, “সামান্য ধস্তাধস্তি হয়ে থাকতে পারে। লাঠিচার্জের কোনও ঘটনা ঘটেনি।”

এ দিন দুপুরে মেদিনীপুর স্টেশনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন এসইউসি কর্মী-সমর্থকেরা। নেতৃত্বে ছিলেন অমল মাইতি, নারায়ণ অধিকারী, তুষার জানা, রঞ্জিত গুপ্ত প্রমুখ। শহরের বিভিন্ন পথ ঘুরে মিছিল কালেক্টরেট মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। কালেক্টরেট মোড়ের আগেই এলআইসি মোড়ের অদূরে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। ধস্তাধস্তির সেই শুরু। পুলিশের বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে পড়েন কয়েকজন কর্মী। অন্যরা এগোতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এসইউসির দাবি, পুলিশের আক্রমণে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য অহিন পাত্রের মাথা ফেটেছে। সবংয়ের কৃষক নেতা গোবিন্দ চৌধুরী হাতে মারাত্মক চোট পেয়েছেন। সূর্য পড়্যা, কারু মুর্মু, অরুণ জানা, ব্রতীন দাস, সিদ্ধার্থ ঘাঁটা, তনুশ্রী বেজ, মধুমিতা ভুঁইয়া সহ অনেক ছাত্র- যুব কর্মীও হাতে- পায়ে মারাত্মক চোট পেয়েছেন। এসইউসির দাবি, জখম ৩০ জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরমধ্যে গুরুতর জখম ৭ জনকে চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিত্সা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Unrest SUCI Rally
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE