নিজস্ব চিত্র
রাতভর কী হয় পঞ্চায়েত অফিসে? আলো জ্বেলে কী কাজকর্ম হয় ওখানে? খারাপ কিছু সন্দেহ করে পঞ্চায়েতের দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। শনিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল শাসিত ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কালীকৃষ্ণ প্রধানের অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের হাত রয়েছে। বিজেপির অবশ্য দাবি, গ্রামবাসীরাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদ করছেন।
অভিযোগ, রাতভর খোলা থাকে সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস। বিগত কয়েক দিন ধরেই তা লোকের নজরে পড়েছে। হঠাৎ রাত জেরে পঞ্চায়েত কর্মীদের কাজ করার দরকার পড়ল কেন, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জনমানসে। তা নিয়ে নানাবিধ গুঞ্জনের মধ্যেই শনিবার পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন কিছু মানুষ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।
তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কালীকৃষ্ণের দাবি, “পঞ্চায়েত একটি স্বশাসিত সংস্থা। জনগণের কাজের জন্য কত ক্ষণ এই অফিস খুলে রাখা হবে, তা পঞ্চায়েতই স্থির করতে পারে। তা ছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সমস্ত নিয়ম মেনে সরকারি প্রকল্পের কাগজপত্র তৈরি করতে হচ্ছে। এর জন্য অনেক রাত পর্যন্ত কর্মীদের কাজ করতে হচ্ছে। এই নিয়ে গুজব রটিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে মাঠে নেমেছে বিজেপি।”
যদিও বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সাহেব দাসের বক্তব্য, “গত ৫ বছর ধরে মানুষের টাকা লুট করেছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। এখন কেন্দ্রীয় টিম জেলায় ঢুকতেই প্রতি দিন মধ্য রাত পর্যন্ত কাজের নামে আসলে তথ্য লোপাট করা চলছে। এরই প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy