Advertisement
E-Paper

ভোটের হিংসা অব্যাহত পূর্বে

ভোট পরবর্তী হিংসা চলছেই। আক্রান্ত হচ্ছেন শাসক ও বিরোধী—উভয় পক্ষই। কোথাও প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট, কোথাও সাধারণ সমর্থক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৬ ০৩:০৮

ভোট পরবর্তী হিংসা চলছেই। আক্রান্ত হচ্ছেন শাসক ও বিরোধী—উভয় পক্ষই। কোথাও প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট, কোথাও সাধারণ সমর্থক।

সুতাহাটা থানার ফতেপুরে তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্টের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মুজিবর রহমানকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মুজিবরের অভিযোগ, ‘‘শনিবার কাজে যাওয়ার সময় শেখ সরিফুল খানের নেতৃত্বে একদল লোক আমাকে তুলে নিয়ে যায়। একটি ঘরের মধ্যে বন্ধ করে বেদম মারে। মাথায় তিনটি সেলাই করতে হয়েছে।’’ খবর পেয়ে তৃণমূলের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। তাঁকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনায় দু’জন সিপিএম কর্মীকে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হলদিয়ায় তৃণমূল প্রার্থী মধুরিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার এজেন্টকে সিপিএমের লোকেরা মাথায় টাঙি দিয়ে কুপিয়েছে। পুলিশে অভিযোগ করেছি।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনন্দময় অধিকারী জানান, এজেন্ট হওয়ার পর থেকেই মুজিবকে হুমকি দিচ্ছিল সিপিএমের লোকেরা।

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শ্যামল মাইতি বলেন, ‘‘এটা পারিবারিক বিবাদ।’’ তবে যে দু’জনকে ধরা হয়েছে, তাঁরা দলীয় কর্মী বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

এ দিকে শনিবার রাতে এক সিপিএম সমর্থককে ছুরি, ব্লেড দিয়ে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মহিষাদলের সতীশ সামন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি গ্রাম্য সভাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, সে সময় তৃণমূলের লোকেরা আক্রমণ করে ওই সিপিএম সমর্থককে। তাঁকে বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

রবিবার সকালে ওই যুবক মহিষাদল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও, পরে তা ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে খবর। চাপের মুখেই তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই যুবক বলেন, ‘‘গ্রামে তো থাকতে হবে। গ্রামের সকলে সালিশি হবে বলে জানিয়েছে। সেই অপেক্ষায় আছি।’’

হলদিয়ার এসডিপিও জানিয়েছে, অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আটক দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা যায়নি। মহিষাদলের সিপিএম নেতা প্রহ্লাদ মান্না জানান, ‘‘শনিবার রাতে গ্রামে গাজন কমিটি গঠনের একটি সভা ছিল। সেই সভায় যাওয়ার সময়ই আক্রান্ত হন ওই যুবক। কিন্তু গ্রামের মানুষের সঙ্গে আপসে গোলমাল মেটাতে চেয়েছেন তিনি। ’’

তৃণমূল নেতা তিলক চক্রবর্তী অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখেছি মদ্যপ অবস্থায় দুই পক্ষের ঝামেলা হয়েছিল। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই।’’

assembly election TMC CPM
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy