Advertisement
১১ মে ২০২৪

প্রধান বাছতে ভোট, প্রকাশ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচন ঘিরে বেআব্রু হল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। ঘটনাস্থল কেশিয়াড়ি।

কড়া পাহারায় চলছে ভোট।

কড়া পাহারায় চলছে ভোট।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৩৭
Share: Save:

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচন ঘিরে বেআব্রু হল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। ঘটনাস্থল কেশিয়াড়ি।

বৃহস্পতিবার ছিল কেশিয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন। এত দিন তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতে প্রধানের দায়িত্ব সামলাতেন উপপ্রধান শেফালি পাহাড়ি। শেফালিদেবী তৃণমূলের কিষান খেত মজদুর সংগঠনের মহকুমা সভাপতি ফটিক পাহাড়ির স্ত্রী। প্রধান পদে নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই সরব হয়েছিল ফটিক বিরোধী বলে পরিচিত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জগদীশ দাসের অনুগামীরা। সম্প্রতি আদালতও ওই পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনের নির্দেশ দেয়। তারপর এ দিন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে পৃথক দু’জন পঞ্চায়েত সদস্যকে প্রার্থী করে ভোটাভুটিতে প্রধান নির্বাচিত হয়। গণনা শেষে দেখা যায়, ১৫টির মধ্যে ১০টি ভোট পেয়ে ফটিক অনুগামী প্রার্থী মিঠু শিট
প্রধান হয়েছেন।

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জগদীশ দাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কোন্দল রয়েছে দলের কিষান খেত মজদূর সংগঠনের মহকুমা সভাপতি ফটিক পাহাড়ির অনুগামীদের। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে বারবার। গত নির্বাচনে ১৬টি আসনের ৫টি সিপিএমের দখলে থাকলেও বাকি ১১টিতে জিতে কেশিয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল। কিন্তু প্রধান পদটি অনগ্রসর জাতির জন্য সংরক্ষিত থাকায় এবং তৃণমূলের কোনও পঞ্চায়েত সদস্যদের সেই শংসাপত্র না থাকায় পদটি ফাঁকা থেকে যায়। উপপ্রধান শেফালিদেবীই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। পরে অনগ্রসর জাতির শংসাপত্র পেতে আবেদন জানান জগদীশ অনুগামী বলে পরিচিত ভারতী পাতর। তিনি শংসাপত্র পাওয়ার পরেও শেফালিদেবী প্রধান পদ ছাড়তে না চাওয়ার অশান্তি বাধে। পরে সিপিএম ছেড়ে চারজন পঞ্চায়েত সদস্য ফটিকবাবুর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেয়। সেই নিয়েও শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর চাপানউতোর।

মাস কয়েক আগে আদালতের দ্বারস্থ হন ভারতীদেবী। সম্প্রতি আদালত ওই পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনের নির্দেশ দেয়। ভারতীদেবীর বিরুদ্ধে ফটিক গোষ্ঠীর প্রার্থী হন সিপিএম থেকে তৃণমূলে আসা পঞ্চায়েত সদস্য মিঠু শিট। এ দিন সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য ভোটাভুটিতে যোগ দেননি। বাকি ১৫ জনের মধ্যে ১০জনের সমর্থন পেয়ে জেতেন মিঠু। ফটিকবাবু বলেন, “জগদীশবাবুরা দলকে অপমান করে আদালতে গিয়ে প্রধান নির্বাচনের নির্দেশ নিয়ে এসেছিলেন। পরে দলের প্রার্থী মিঠু শিটের বিপক্ষে ভারতী পাতরকে প্রধান পদপ্রার্থীও করেন। শেষমেশ মিঠুই জিতেছেন।” যদিও ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগদীশবাবুর বক্তব্য, “সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত করে দলবদল করা পঞ্চায়েত সদস্যকে ফটিকবাবুরা প্রধান করলেন। আমি দলকে সব জানাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Vote Panchayat Pradhan Conflict
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE