আমলাশুলিতে চিকিৎসক দল। —নিজস্ব চিত্র।
ডায়েরিয়ায় প্রকোপ দেখা দিয়েছে গোয়ালতোড়ের আমলাশুলিতে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ দুই শিশুকে বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামে বসেছে মেডিক্যাল ক্যাম্প।
আমলাশুলির মন্দিরপাড়ায় শনিবার সন্ধে থেকেই কয়েকজনের বারবার বমি-পায়খানা হয়, সঙ্গে অসহ্য পেটের যন্ত্রণা। একে একে পাড়ার শিশু থেকে মহিলা অনেকেই অসুস্থ হতে থাকে। খবর পেয়েই রাতেই সেই পাড়ায় ছুটে আসেন আমলাশুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের চেষ্টায় কয়েকজন অসুস্থকে আমলাশুলি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক না থাকায় দুই শিশুকে সারেঙ্গা হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা তথা আমলাশুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সলিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সাব মার্সিবল পাম্পের জল থেকেই ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন শিশু, মহিলা-সহ প্রায় ২৫ জন। তাঁদের চিকিৎসা হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আক্রান্ত পরিবারদের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে গড়বেতা ২ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে পানীয় জলের জন্য একটি সাব মার্সিবল পাম্প করা হয়েছিল ওই এলাকায়। মন্দিরপাড়ায় একটি পুকুরপাড়ে সেই পাম্পের একটি জলকল রয়েছে। সেই জল খেয়েই এই বিপত্তি বলে মনে করছেন দুর্গাপদ পান, মমতা দাস, ঝুমা পান সহ ডায়েরিয়ায় আক্রান্তদের পরিবারগুলি। বিএমওএইচ প্রসেনজিৎ দাসও জানালেন, ওই এলাকায় একটি পুকুরে গবাদিপশুদের স্নান করানো হয়, জামাকাপড় কাচা হয়। আবার সেই পুকুর পাড়ে সাব মার্সিবলের পাম্পের জল খান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর দাবি, ‘‘স্বাস্থ্যকর্মীরা বারণ করা সত্ত্বেও সেই জলই ব্যবহার করা হচ্ছিল। তার ফলেই এই বিপত্তি।’’ গড়বেতা ২-এর বিডিও স্বপনকুমার দেব বলেন, ‘‘ওই এলাকায় ডায়েরিয়া ছড়ানোর খবর পেয়েছি। স্বাস্থ্যকর্মীদের এলাকায় পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।’’ বিএমওএইচ জানান, জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy