আদিশা দেবশর্মা এবং সৌম্যদীপ সামন্ত।
একটি স্কুলের ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হয়েছেন। আরেক স্কুলের ছাত্রী মেধা তালিকায় প্রথম। তবে দেখা গেল, কৃতী এবং মেধাবী পড়ুয়ার মোট সংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী সৌম্যদীপ সামন্তের স্কুল টেক্কা দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকরী আদিশা দেবশর্মার স্কুলকে।
উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় এ বার কৃতীর সংখ্যা ২৭২ জন। তবে এই ২৭২ জনের মধ্য়ে ২২ জন শুধু একটিই স্কুলের পড়ুয়া। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক প্রান্তে সবং বিধানসভার পিংলা থানার স্কুল জলচক নাটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তনের ছাত্র সৌম্যদীপ। তাঁর স্কুল এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট কৃতীর সংখ্যায় রেকর্ড করেছে। অন্য দিকে, আদিশার স্কুলের কৃতী তালিকাও বেশ দীর্ঘ। দিনহাটার সোানিদেবী জৈন হাই স্কুলের ১০ জন ছাত্রী রয়েছেন মেধা তালিকার এক থেকে ১০-এর মধ্যে।
সৌম্যদীপের স্কুলে কৃতীদের মধ্যে রয়েছেন, তৃতীয় স্থানাধিকারী পরিচয় পারি। এ ছাড়া, তিনজন চতুর্থ স্থানে, একজন ষষ্ঠ, তিনজন সপ্তম, ছ’জন অষ্টম, দু’জন নবম এবং পাঁচ জন দশম স্থানাধিকারী রয়েছেন। এ বছর এই স্কুল থেকে ২৪৭ জন পরীক্ষা দিয়েছিল তাদের মধ্যে ১০৯ জন ছাত্রী বাকিরা ছাত্র। ২২ জন কৃতীর পাশাপাশি অধিকাংশই ভাল ফল করেছেন। দিনহাটার আদিশার স্কুলে এক জন চতুর্থ, দু’জন পঞ্চম, একজন সপ্তম, দু’জন অষ্টম, একজন এবং দু’জন দশম স্থানাধিকারী রয়েছেন।
১৯৪৯ সালে ময়নাগড়ের রাজা বাহুবলিন্দের দান করা জমিতে শুরু হয়েছিল জলচকের নাটেশ্বরী স্কুল। এখন সেখানে দু’টি ভবন। মোট ৭৬টি ক্লাসরুম। সায়েন্স, আর্টস, কমার্সের পাশাপাশি, ভোকেশনাল শিক্ষা এমনকি, আইটিও পড়ানো হয়। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত এখন ১৫০০ ছাত্র ছাত্রী এই স্কুলের। আদিশার স্কুলটি আরও পুরনো ১৯৪৪ সালে দিনহাটার বারা আতিয়াবারিতে শুধু মেয়েদের জন্য তৈরি হয় সোনিদেবী জৈন হাই স্কুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy