বুধবার দিঘার সৈকতে। নিজস্ব চিত্র
স্থানীয়দের আপত্তি মেনে লকডাউনের পর বুধবার থেকে ফের খুলেছে দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র। কিন্তু এ দিন ইলিশের আমদানি তেমন ছিল না। বরং প্রথম দিনে দেদার পমফ্রেট মাছের আমদানি। যার ফলে মরসুমের শুরুতেই কিছুটা নিরাশ মৎস্যজীবীরা।
দীর্ঘ তিন মাস লকডাউন চলেছে। সাগরে মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়সীমাও অতিক্রান্ত। গত কয়েক মাসে বঙ্গোপসাগরে দূষণের মাত্রাও অনেকটাই কমেছে। তাই এবছর মরসুমের শুরু থেকে প্রচুর ইলিশের আশা করেছিল মৎস্যজীবীরা। যদিও এদিন দিঘা মোহনা মাছ নিলাম কেন্দ্রে ২০০ টন পমফ্রেট মাছের আমদানি হয়। ইলিশের আশায় বহু মাছ ব্যবসায়ী নিলাম কেন্দ্রে ভিড় করলেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁদের। করোনা পরিস্থিতিতে এদিন মাছ নিলাম কেন্দ্রে ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও সকলের মুখে মাস্ক ছিল। তবে সামাজিক দূরত্ব সেরকম মানা হয়নি। অন্যদিকে এদিন বিক্রির শেষে মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মাথ নিলাম কেন্দ্র জীবাণুমুক্ত করা হয়।
দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক স্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘‘প্রথম দিন ইলিশের একেবারেই দেখা মেলেনি। তবে ২০০ টন পমফ্রেট মাছ পাওয়া গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে আরও ট্রলার ফিরলে ইলিশ মিলতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে মাছ নিলাম কেন্দ্রে সকলকে মুখে মাস্ক এবং হাত জীবাণুমুক্ত রাখার কথা বলা হচ্ছে। নিয়মিত দুবার গোটা নিলাম কেন্দ্র জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।’’
সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ বলেন, ‘‘মৎস্যজীবী সংগঠনের মতো আমরাও মাছ নিলাম কেন্দ্র নিয়মিত জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টা করব।পাশাপাশি কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সমস্ত মৎস্যজীবী এবং মাছ ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’’
এদিন থেকে পুরোদস্তুর চালু হয়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত পর্যটন। দিঘার প্রায় সব হোটেল এদিন খুলে গিয়েছে। তবে পর্যটক তেমন আসেনি বললেই চলে। এমনকী বুকিংও সে ভাবে হয়নি বলে হোটেল মালিক সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে। দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, ‘‘প্রায় সমস্ত হোটেল খুলেছে। ধীরে ধীরে সব হোটেলেই বুকিং বাড়বে।’’ যদিও কর্মীরা কাজ করতে না চাওয়ায় ব্যবসা চালাতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন হোটেল মালিকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy