মেডিক্যাল পরিদর্শনে জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র
জেলার সবথেকে বড় সরকারি হাসপাতাল। রোগ নিরাময়ের জন্য আসেন বহু লোক। অথচ সেই হাসপাতালই কি না ভুগছে ‘রোগে’!
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো ও পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বুধবার মেডিক্যালে পরিদর্শনে এসে জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বুঝলেন, সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। পরিদর্শনের সময় হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখেছেন তিনি। ওয়ার্ডে বিড়াল ঘুরতে দেখেছেন। মেঝেতে রোগীদের থাকতে দেখেছেন। দেখেছেন আরও নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি।
চলতি বছরের শুরুতে হাসপাতাল চত্বরে একটি বিশ্রামকক্ষ চালু হয়েছে। বিশ্রামকক্ষে এখনও বিদ্যুতের সংযোগ পৌঁছয়নি। লাগানো হয়নি আলো, পাখা। ফলে, রোগীর পরিজনেরা এখানে চরম সমস্যায় থাকেন। বিশ্রামকক্ষে বিদ্যুতের সংযোগ নেই দেখে অবাকই হন জেলাশাসক। মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু, হাসপাতাল সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজার কাছে তিনি জানতে চান, কেন এই পরিস্থিতি।
অধ্যক্ষ, সুপার আমতা আমতা করে জানান, কাজ করার কথা পিডব্ল্যুডি ইলেকট্রিক্যালকে বলা হয়েছে। আকাশ থেকে পড়েন পিডব্ল্যুডি ইলেকট্রিক্যালের এক কর্তা। জেলাশাসকের সামনেই তাঁর প্রশ্ন, কবে বলেছেন! সব বুঝে জেলাশাসকের নির্দেশ, “দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে।”
হাসপাতালের পুরনো ভবনের দোতলার ওয়ার্ডগুলোয় চাঙড় খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলে জল পড়ে। মেঝেতে ফাটল ধরছে। মেরামতের নাম নেই। যা দেখে অসন্তুষ্ট হন জেলাশাসক। জেলাশাসকও মানছেন, “কিছু সমস্যা রয়েছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। একে একে কাজগুলো হবে।”
জেলাশাসকই মেদিনীপুর মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। বুধবার সকাল দশটা নাগাদ আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন তিনি। শুরুতে যান ‘মাদার এন্ড চাইল্ড হাব’-এ। এই হাব নতুন চালু হয়েছে। এখানে মা ও শিশুদের ওয়ার্ড রয়েছে। নতুন হাবটি ঘুরে দেখেন তিনি। এখান থেকে যান হাসপাতালের পুরনো ভবনে। পরে সেখান থেকে যান হাসপাতালের নতুন ভবনে। হাসপাতাল পরিদর্শনের পরে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy