বধূ নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি সহ চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করল। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী শেখ কবির আলি, শ্বশুর শেখ ইন্তাজ আলি , শাশুড়ি জরিনা বিবি এবং তাদের পারিবারিক বন্ধু তারাপদ প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নির্যাতিতা মহিলার শ্বশুরবাড়ি রামনগর থানার মৈতনা পাইকবাড় গ্রামে। তারাপদ প্ৰধান কাঁথি থানার সিলামপুরের বাসিন্দা। তিনি ঘটনার সময় ওই মহিলার শ্বশুরবাড়িতে বাড়িতে ছিলেন ও নির্যাতনে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। দেড় মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে হালিমা বিবি নামে ওউ মহিলা এখন কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস সাতেক আগের ঘটনা। মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাইকবাড় গ্রামের পূর্ব প্রান্তে একটি খালের ধারে বেশ কিছু মুসলিম পরিবার বাসে। সেখানেই হালেমা বিবির সঙ্গে পরিচয় হয় গ্রামেরই যুবক শেখ কবির আলির। অচিরেই পরিচয় প্রেমে গড়ায়। হালেমা বিবিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে শেখ কবির। অভিযোগ, হালেমা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে লোক জানাজানি হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় কবিরের বাড়ির লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সমস্ত বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে মাতব্বররা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এমনকী কবিরের বাড়ির লোকজন টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। কিন্তু হালেমার বাবা শেখ আফতাব হোসেন থানায় অভিযোগ জানাবেন বললে কবির হালেমাকে বিয়ে করতে রাজি হন। আফতাব হোসেনের অভিযোগ, ‘‘বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু হয়। এমনকী বাপে বাড়িতেও আসতে দেওয়া হত না। মাস তিনেক আগে মেয়ে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে নির্যাতন আরও বাড়ে।’’
হালেমার বাপের বাড়ির অভিযোগ, গত ৩০ মে হালেমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। হালেমার চিৎকারে প্রতিবেশীর এসে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরেই তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ওই দিনই পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy