Advertisement
E-Paper

গরম পড়তেই জলে নুন, দুর্ভোগ হলদিয়ায়

গরম পড়লেই এক সমস্যা। জলে লবণ বেড়ে যায় মাত্রাতিরিক্ত। ফলে ভোগান্তির শিকার হন হলদিয়ার বাসিন্দারা। এক-আধ দিন নয়। বছরের পর বছর এই সমস্যা নিয়ে বেঁচে থাকা।

অপ্রমেয় দত্তগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৬ ০১:০৩
হলদিয়ার গেঁওখালি জলপ্রকল্প। —ফাইল ছবি।

হলদিয়ার গেঁওখালি জলপ্রকল্প। —ফাইল ছবি।

গরম পড়লেই এক সমস্যা। জলে লবণ বেড়ে যায় মাত্রাতিরিক্ত। ফলে ভোগান্তির শিকার হন হলদিয়ার বাসিন্দারা। এক-আধ দিন নয়। বছরের পর বছর এই সমস্যা নিয়ে বেঁচে থাকা।

বিশেষত হলদিয়া পুরসভার ২৬টি ওয়ার্ডে এই নোনা জল সরবরাহ হচ্ছে বলে খবর। এটি পানীয় জল নয়। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ স্নান-সহ অন্যান্য নিত্যদিনের কাজে এই জল ব্যবহার করতেই হয়। তাতে নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ত্বকের সমস্যা, চুল পড়ে যাওয়া, দাঁতের ক্ষয়— ধীরে ধীরে রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন তাঁরা।

চকতাড়োয়ান এলাকার বিশ্বনাথ মান্না বলেন, ‘‘এই জল পানের অযোগ্য। তবু কোনওভাবে মুখে গেলে দাঁত শিরশির করে।’’ গান্ধীনগরের প্রৌঢ় শ্যামল মণ্ডলের অভিযোগ, ওই জলে স্নান করে ত্বকেরও ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু সে সব অভিযোগ শুনবে কে?

নোনা জল সরবরাহের দায় অবশ্য পুরসভা বা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ নিতে রাজি নয়। কর্তৃপক্ষ শুধু পরস্পরের দিকে আঙুল তোলেন। তবে একটি বিষয়ে দু’তরফই এক মত— গোটা বিষয়টির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। বাংলাদেশের সঙ্গে জলবণ্টন চুক্তির ফলেই এই সমস্যা।

হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সিইও উজ্জ্বল সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘প্রতি বছরই মূলত দু’টি কারণেই এই সমস্যা হয়। গরমে নদীর জল শুকিয়ে যায়। সমুদ্রের খুব কাছাকাছি হওয়ায় জল সহজেই লবণাক্ত হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় সরকারের ভারত-বাংলাদেশ জলবণ্টন চুক্তি।’’

একই দাবি করেছেন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডলও। তিনিও বলেন, ‘‘ভারত সরকার বাংলাদেশকে ৪০ হাজার কিউসেক জল দিচ্ছে। সে জন্য এ দিকে জল শুকিয়ে যায়। লবণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে ২২০০ থেকে ৩০০০ গ্রেড। গেঁওখালি জলপ্রকল্পে এতখানি জল শোধন ক্ষমতা নেই।’’

১৯৯২ সালে গেঁওখালিতে জলপ্রকল্পের সূচনা হয়। সেখানে জলে লবণ কমানোর ব্যবস্থা রয়েছে ১০০০ গ্রেড। কিন্তু গরমে বৃষ্টির জল না-পেয়ে নদীগুলি অতিরিক্ত লবণ ধরে রাখে। সেই জল শোধন করা সম্ভব হয় না। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সিইও উজ্জ্বল সেনগুপ্ত আশ্বাস দিয়েছেন, ‘‘দু’শো কোটি টাকার নতুন জল প্রকল্প রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। মাস দুয়েক সময় লাগবে।’’

তবে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদকে বিঁধতেও ছাড়ছেন না পুরপ্রধান। পর্ষদকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘‘পর্ষদের কাছ থেকে দাম দিয়ে জল কিনে বিনামূল্যে সরবরাহ করে হলদিয়া পুরসভা। আমরা কী করে মিষ্টি জল দেব?’’

এলাকার নবনির্বাচিত সিপিএম বিধায়ক তথা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপসী মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নেতৃত্বাধীন পুরসভা মানুষের দায় নিতে চায় না। পর্ষদও ইচ্ছাকৃতভাবে উন্নয়ন করছে না। শুধু অর্থ তছরুপ করছে।’’

water project salt
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy