Advertisement
E-Paper

সরকারের দেওয়া শৌচাগার ব্যবহার না করলে মিলবে না রেশন!

এ বার এই ভাবেই প্রচারে নামল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৮ ০২:৩৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সরকারের করে দেওয়া শৌচাগার ব্যবহার না করলে কোপ পড়তে পারে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে। এমনকি, না-ও মিলতে পারে রেশন। এ বার এই ভাবেই প্রচারে নামল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।

শৌচাগারগুলি কি ঠিকঠাক ব্যবহার হচ্ছে— কয়েক দিনের মধ্যে খতিয়ে দেখতে আসছে রাজ্যের এক প্রতিনিধি দল। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর নির্মল জেলার তকমা পাবে কি না, তা অনেকটাই নির্ভর করছে ওই পরিদর্শক দলের উপর। তাই পরিদর্শনের আগে ফের একবার শৌচালয় ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। আধিকারিকদের একাংশ মানছেন, বারবার বুঝিয়ে বলা সত্ত্বেও খোলা আকাশের নীচে শৌচকর্ম আটকানো যাচ্ছে না। তাই এ বার হয়ত বাধ্য হয়েই কিছুটা কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “শৌচাগার তৈরি করে দেওয়ার পরেও অনেক উপভোক্তাই ব্যবহার করছেন না। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেলের পথ ধরতে হচ্ছে। এতে যদি কাজ হয়।”

সূত্রের খবর, প্রথম দফায় পরিদর্শক দলটি ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখবে। তারপর মেদিনীপুর সদর এবং খড়্গপুর মহকুমায় যাবেন তারা। তাই এখন ঘাটাল মহকুমা জুড়ে জোর প্রচার শুরু হয়েছে। ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর, সোনাখালি, ক্ষীরপাই-সহ বিভিন্ন এলাকায় এখন সকাল-বিকাল প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন। স্কুল,অঙ্গনওয়াড়ি এবং শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পড়ুয়ারাও যাতে শৌচাগার ব্যবহার করে তা দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে। জেলা পরিষদের সচিব প্রবীর ঘোষ বলেন, “জোরদার প্রচার চলছে। শৌচাগার ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলাই একমাত্র লক্ষ্য।”

পরিদর্শনের খবরে ব্যস্ততা বেড়েছে প্রশাসনের অন্দরে। শুরু হয়েছে পাড়ায় পাড়ায় ছোটাছুটি। মাঠে নামানো হয়েছে সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের। জন-প্রতিনিধিরাও এলাকায় এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, এমনিতেই শৌচাগার তৈরিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। কোথাও কোথাও আবার পুরানো শৌচাগার রং করে নতুন দেখানোর অভিযোগও রয়েছে। তবে অনিয়মের পাশাপাশি প্রশাসনকে ভাবাচ্ছে কেন তিন বছর ধরে সরকারি টাকা খরচ করে প্রচার চালিয়েও মিলল না কাঙ্খিত ফল? হাতে সময় কম। তাই একশো শতাংশ লোকের শৌচগারের অভ্যাস গড়ে তুলতে শুরু হয়েছে প্রচার। সেখানেই বলা হচ্ছে, সরকারি পয়সায় শৌচাগার হলে তা ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে প্রয়োজনে সরকারি প্রকল্প বন্ধ করা হতে পারে

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এ ভাবে কি সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোনও শর্ত আরোপ করা যায়? না কি বন্ধ করা যায় রেশনের মতো পরিষেবা? প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ ভাবে পরিষেবা বন্ধ করা যায় না। এটা একটা কৌশল। কোনও পরিষেবাই বািতল হবে না। তবে এই হুঁশিয়ারিতে কাজ হচ্ছে।’’

Ration রেশন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy