বেলা গড়িয়ে ঘড়ির কাঁটা ১২টা পেরোলেই ঘুম ঘুম ভাবটা আসতে থাকে। আর একটু বেলা হলেই ক্লান্তি যেন ঘিরে ধরে। মনে হয়, দু’চোখের পাতা বন্ধ হয়ে আসছে। একটু গড়িয়ে নিলেই যেন ভাল হয়। এ দিকে সারা দিনের ক্লান্তির পরে রাতে শুয়ে কিছুতেই ঘুম আসতে চায় না। সব সময়েই যে মাথায় চিন্তা কিলবিল করে তা নয়, রোজের কিছু অভ্যাসও এর জন্য দায়ী হতে পারে।
এই যে ঘুম আসছি আসছি করেও আসে না, তার অনেক কারণ। চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরেরও একটা ঘড়ি আছে। সে’ও কাঁটায় কাঁটায় চলতে চায়। খিদে পাওয়ার যেমন সময় আছে, ঘুমেরও তেমন সময় আছে। আর সেই সময়ে যদি ঘুম না আসে, তা হলে সেটিও কিন্তু একটি রোগ। এই রোগের নাম অনিদ্রা। রোজের জীবনযাপন পদ্ধতির মধ্যে এমন অনেক ত্রুটি আছে, যা এই অনিদ্রার কারণ হতে পারে।
১) নাইট শিফটে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের ঘুমোনোর সমস্যা বেশি হয়। রাতভর কাজ করে সকালে বাড়ি ফিরে গিয়ে ঘুমোন তাঁরা, কিন্তু এই ব্যক্তিরা কিন্তু ছোট থেকে বড় হয়েছেন রাতে ঘুমিয়েই। এ ক্ষেত্রে শরীর রাতারাতি ঘুমোনোর অভ্যেসটা বদলে ফেলতে পারে না। ফলে অনিদ্রার সমস্যা হয়। এ সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে লাগে।
আরও পড়ুন:
২) রাত জেগে অনেকে পড়াশোনা বা কাজ করেন, রাত জেগে থাকার জন্য ঘনঘন সিগারেট বা কফি খান। সিগারেট ও কফি বা ক্যাফিন জাতীয় জিনিস ঘুম না আসার অন্যতম বড় কারণ। সুতরাং ভাল ঘুমের ইচ্ছে থাকলে, আগে এই দুই অভ্যাস ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
৩) রাতে শুয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল দেখা, কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনাও ঘুম না আসার অন্যতম বড় কারণ। এতে স্নায়ুর উদ্দীপনা বাড়ে। ফলে অনিদ্রার সমস্যাও বাড়তে থাকে।
৪) রাতে শোয়ার আগে কাপের পর কাপ চা বা কফি পান, অথবা কার্বোনেটেড পানীয় বেশি খেলে তা থেকেও ঘুমের সমস্যা হতে পারে। খুব বেশি মশলাদার খাবার রাতে খেলে, ঘুমের সমস্যা হবেই।
৫) পিঠে বা কোমরে ব্যথা কমছে না, অথবা দিনভর একটানা বসে কাজ করছেন, ফলে মাথায় ও ঘাড়ে ব্যথা হচ্ছে। তখন ব্যথার কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম করতে হবে। ব্যথাও কমবে, ঘুমও স্বাভাবিক নিয়মে আসবে।