Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মহিলাকে ধরে ক্ষোভের মুখে পুলিশ

তমলুক শহরের কাপাসবেড়িয়ায় গৃহকর্তাকে ভোজালির কোপ মেরে সর্বস্ব লুঠের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দু’দিন। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক মহিলা ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশই। শনিবার গভীর রাতে স্থানীয় সঞ্জিত সিংহের বাড়িতে হানা দেয় ছ’জনের সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৬
Share: Save:

তমলুক শহরের কাপাসবেড়িয়ায় গৃহকর্তাকে ভোজালির কোপ মেরে সর্বস্ব লুঠের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দু’দিন। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক মহিলা ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশই। শনিবার গভীর রাতে স্থানীয় সঞ্জিত সিংহের বাড়িতে হানা দেয় ছ’জনের সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল। তাদের ভোজালির কোপে জখম হন সঞ্জিতবাবু। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীহরি পাণ্ডে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সঞ্জিতবাবুর স্ত্রী গায়ত্রীদেবী জানান, কয়েকদিন আগে এক মহিলাকে জানিয়েছিল তাঁর পরিবারের কত টাকা ব্যাঙ্কে আছে। রবিবার সকালেই পুলিশ বাহিনী তমলুক শহরের বড়বাজারে গিয়ে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে আসে। তিনি একটি চা-মুড়ির দোকান চালান।

সারাদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যে ভাবে ভরা বাজারের মধ্য থেকে ওই মহিলা ব্যবসায়ীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। তমলুকের রামসীতা বারোয়ারি বাজার কমিটির সহ-সম্পাদক বিকাশ প্রামাণিক বলেন, ‘‘স্রেফ সন্দেহের বশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন মহিলার সঙ্গে পুলিশ যে আচরণ করেছে মোটেই কাম্য নয়।’’ জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া অবশ্য বলেন, ‘‘ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আইন মেনেই ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’’ ওই মহিলা জানিয়েছেন সঞ্জিতবাবুদের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সাত-আট বছর পরিচিতি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘যে ভাবে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তাতে আমার সম্মানহানি হয়েছে। কাজেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE