Advertisement
E-Paper

রং কালো, পুড়িয়ে ‘খুন’ বধূকে

স্থানীয়রাই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় শ্রাবণী বেরা মাইতি নামে ওই তরুণীকে প্রথমে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, শরীরের ৮০% পুড়ে গিয়েছে শ্রাবণীর। রাত ৮টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ শ্রাবণীর স্বামী সৌরভ ও শাশুড়ি সুমিত্রাকে আটক করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৮ ০৩:২৮
শ্রাবণী বেরা মাইতি

শ্রাবণী বেরা মাইতি

মেয়ে কালো। তাই পণ দিয়েই মেয়ের বিয়ে দিতে হয়েছিল বলে দাবি বাপের বাড়ির। সোমবার অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল সেই মেয়ের। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর-২ ব্লকের চকমকরামপুরে ওই ঘটনায় এ দিন রাত পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। যদিও বাপের বাড়ির অভিযোগ, মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে শ্বশুরবা়ড়ির লোকেরা।

স্থানীয়রাই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় শ্রাবণী বেরা মাইতি নামে ওই তরুণীকে প্রথমে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, শরীরের ৮০% পুড়ে গিয়েছে শ্রাবণীর। রাত ৮টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ শ্রাবণীর স্বামী সৌরভ ও শাশুড়ি সুমিত্রাকে আটক করেছে।

খড়্গপুর-২ ব্লকের সরোই গ্রামের বাসিন্দা শ্রাবণীর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে চকমকরামপুরের সৌরভের বিয়ে হয়। তাঁদের মাস দেড়েকের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। শ্রাবণীর দাদা সুশান্ত বেরা বলেন, “আমার বোনের গায়ের রং কালো। তাই পণ দিয়ে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু টাকা কম হয়েছে বলে অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আমার বোনকে পুড়িয়ে খুন করেছে।” স্থানীয় সূত্রের খবর, পারিবারিক অশান্তি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। রবিবার দু’পক্ষ বসে মীমাংসার চেষ্টা করে। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, এ দিন সকালে চিৎকার শুনে বাড়িতে গিয়ে তাঁরা দেখেন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শ্রাবণী। ভিড় বাড়তে থাকায় স্বামী ও শাশুড়ি ছাড়া শ্বশুরবাড়ির বাকি লোকেরা চম্পট দেন। কী ভাবে আগুন লাগল? খুনের চেষ্টা? নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন শ্রাবণী— পুলিশ জানিয়েছে, সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Murder Skin Tone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy