Advertisement
E-Paper

দাবি বকেয়া বেতনের, বিঘ্ন পরিষেবায়

শালবনির এই হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে জিন্দল গোষ্ঠী। কর্মীদের দাবি, তাঁরা হাসপাতালের ম্যানেজার রূপেশ মল্লিকের কাছে বকেয়া চেয়ে দরবার করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২০ ০১:৪২
বিক্ষোভ: শালবনি হাসপাতালের সামনে অবস্থান। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ: শালবনি হাসপাতালের সামনে অবস্থান। নিজস্ব চিত্র

শীঘ্রই হাসপাতালটি করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত হওয়ার কথা। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তার আগেই বকেয়া বেতন চেয়ে সরব হলেন শালবনি সুপার স্পেশ্যালিটির কর্মীরা। শনিবার হাসপাতালের সামনে তাঁরা অবস্থান করেন। এর জেরে ব্যাহত হয়েছে পরিষেবা।

শালবনির এই হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে জিন্দল গোষ্ঠী। কর্মীদের দাবি, তাঁরা হাসপাতালের ম্যানেজার রূপেশ মল্লিকের কাছে বকেয়া চেয়ে দরবার করেছেন। তবে সুরাহা হয়নি। কর্মী অসন্তোষের খবরে শোরগোল পড়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরেও। কারণ, সমস্যা না মিটলে হাসপাতালটি করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করার ক্ষেত্রে জটিলতা হতে পারে।

শনিবার সকাল থেকেই এখানে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। তবে জরুরি বিভাগ খোলা ছিল। অন্তরা ঘোড়ই নামে এক কর্মী বলেন, ‘‘এপ্রিল মাসের বেতন অর্ধেক পেয়েছি। মে মাসের বেতনই পাইনি। ঠিক কর্মবিরতি নয়। জরুরি পরিষেবা এখনও চালু রয়েছে। তবে এ ভাবে বেশিদিন চলতে পারে না।’’ অন্তরা আরও বলেন, ‘‘পরিষেবা দিতে আমরা প্রস্তুত। আমাদের চাওয়া বলতে ওই বকেয়া বেতন মেটানোই।’’ অতনু সিংহ নামে আর এক কর্মী বলেন, ‘‘আমি স্বাস্থ্যসাথীর কাজ করি। আজ থেকে বহির্বিভাগের পরিষেবা, অন্তর্বিভাগের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজমেন্ট ইচ্ছে করেই এটা করেছে। আমরা চাইছি, জরুরি পরিষেবা চালু থাকুক। সকালে ২-৩ জন রোগী এসে জরুরি বিভাগ থেকে ঘুরে গিয়েছেন।’’ অতনুও জানান, এপ্রিল মাসের বেতন অর্ধেক দেওয়া হয়েছে। মে মাসের বেতন এখনও দেওয়া হয়নি।

একদিকে করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করার জন্য এখানে কিছু পরিকাঠামো গড়ার কাজ চলছে, অন্যদিকে বকেয়া বেতন চেয়ে অবস্থান করছেন কর্মীরা, শনিবার সকালে শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই দুই ছবিই দেখা গিয়েছে। কেন কর্মীদের দেড় মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে? চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি শালবনির এই হাসপাতালের ম্যানেজার রূপেশ মল্লিকের সঙ্গে। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। শালবনির বিডিও সঞ্জয় মালাকার বলেন, ‘‘ওখানে একটা সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছেন।’’ কর্মীদের অবস্থান ঘিরে অবশ্য হাসপাতাল চত্বরে অনভিপ্রেত কোনও ঘটনা ঘটেনি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আশা করি, শীঘ্রই ওই সমস্যা মিটে যাবে।’’

Salboni Super Speciality Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy