জখম পলাশ। নিজস্ব চিত্র।
মাদক মেশানো খাবার বা পানীয় খাইয়ে লুঠের ঘটনা নতুন নয়। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এ বার পূর্ব মেদিনীপুরে।
কলকাতা থেকে কাঁথি ফেরার পথে বাসের এক সহযাত্রীর দেওয়া জল খেয়ে অচৈতন্য হয়ে সর্বস্ব খোয়ালেন এক ব্যক্তি। রবিবার সন্ধ্যায় মারিশদার দইসাইয়ের ঘটনা। তবে এখানেই শেষ নয়। লুঠের পরও ওই ব্যক্তিকে মারধর, এমনকী খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পলাশ মাইতি রবিবার সন্ধ্যায় বাসে চেপে কলকাতা থেকে কাঁথি যাচ্ছিলেন। বাসে বছর আঠাশের পলাশের পাশেই বসেছিলেন এক মহিলা ও পুরুষ। টিকিট কাটার সময় পাঁচশো টাকা দিলে কন্ডাক্টর নিতে চাননি । তখনই প্রথম সাহায্য করেন ওই যুগল। জানান, তাঁরাও কাঁথি যাচ্ছেন। আপাতত পলাশের হয়ে বাসের ভাড়া মেটান তাঁরাই। সারা বাসে ওই যুগলের সঙ্গে গল্প করতে করতেই ফিরছিলেন পলাশ। মাঝে কোলাঘাটে টাকা খুচরে করে ভাড়াও মিটিয়ে দেন পলাশ।
নন্দকুমারের কাছে বাসের বাঙ্কে রাখা ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করতে গেলে মহিলাযাত্রীটি জলের বোতল এগিয়ে দেয় পলাশকে। বলেন, ‘‘অত কষ্ট করার কী গরকার? আমার কাছএ আছে। খেয়ে নিন।’’ বিশ্বাস করেছিলেন পলাশ। আর সেই জল খাওযার পরই কেমন ঘোরে মধ্যে চলে যান তিনি। যখন কিছুটা তন্দ্রা কাটল, বুঝলেন কারা যেন ব্যাগ, পকেট হাতরাচ্ছে। তিনি তখন বাসেও ছিলেন না বলেই দাবি পলাশের। বলেন, ‘‘ওরা আমাকে অসুস্থ বলে বাস থেকে নামিয়ে এনেছিল। দইসাইয়ের কাছে আমার থেকে ব্যাগ, টাকা ছিনতাইয়ের সময় আমি ঘোরের মধ্যেও বাধা দিই। তখনই ওরা ব্লেড দিয়ে আমার হাত-পা কেটে দেয়।’’
তার অনেক পরে জ্ঞান ফিরতে পলাশ রক্তাক্ত অবস্থায় দইসাই বাসস্ট্যান্ডে পৌছন। তখনই স্থানীয়রা তাঁকে দইসাই বাজারের একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান পরিজনরা।
তবে পলাশের পরিবারের তরফে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। মঙ্গলবার সকালে এগরা থানায় পলাশের বাবা ডাইরি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy