আদালতের পথে রুহুল। —নিজস্ব চিত্র।
বোমা মজুত রাখার অভিযোগে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল হলদিয়া শহর যুব তৃণমূল সভাপতি রুহুল ইসলামকে। ঘটনার পরদিনই তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে-এই অভিযোগ তুলে হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দলীয় পতাকা নিয়ে চলে বিক্ষোভ। পরে অবশ্য বিক্ষোভ উঠে যায়।
মঙ্গলবার রুহুল ইসলাম ও সোমনাথ বেরাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক যথাক্রমে তিন দিনের জেল হেফাজত ও তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার ভবানীপুরের তেঁতুলবেড়িয়ার একটি বাড়ির মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিকালে সোমনাথ বেরা নামে এক ভাড়াটিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সঙ্গে মেলে তিনটি বোমাও। পুলিশের দাবি, জেরায় সোমনাথ জানান তিনি শহর যুব তৃণমূল সভাপতি রুহুল ইসলামের নির্দেশেই ওই বোমা রেখেছিলেন। এরপর সোমবার রাতেই রুহুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রুহুল ইসলাম ও োমনাথ বেরার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৬, ১২০বি ও বিস্ফোরক নিবারণ আইনের ৪ ও ৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময় সংবাদ মাধ্যমকে রুহুল বলেন, “আমি সোমনাথ বেরাকে আমি চিনি না।” উল্টে তাঁর অভিযোগ, “আগে আজিজুল রহমান হলদিয়া শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। এবারে আমি সেই পদে এসেছি। প্রতিহিংসার জেরেই আজিজুল চক্রান্ত করেছেন। আমি নির্দোষ।”
বর্তমানে দলের যুব শাখার জেলার সম্পাদক আজিজুল রহমান বলেন, “আমি দলের যুব শাখার হলদিয়া শহর সভাপতি। আমি ওঁকে ফাসাতে যাব কেন?” পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, “প্রাথমিকভাবে পুরো বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে। আমরাও দলীয়ভাবে তদন্ত করে রাজ্য নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেব।” আর এ দিনের দলের কর্মীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “স্থানীয়ভাবে কয়েকজন কর্মী থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিক্ষোভ তুলে নিতে বলেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy