দুই নিরীহ মানুষকে গুলি করে খুন করার অপরাধে বৃহস্পতিবার এক সিআইএসএফ জওয়ানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন হলদিয়া ফাস্ট ট্রাক কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অসীমা পাল। একই সঙ্গে, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তাছাড়াও এক বাসিন্দাকে খুনের চেষ্টার অপরাধে বিচারক ওই সিআইএসএফ জওয়ানকে ৮ বছর কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। দু’টি সাজাই একই সঙ্গে চলবে বলে জানা গিয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ওই সিআইএসএফ জওয়ানের নাম রাজেন রাই। তাঁর বাড়ি বিহারের সিওয়ান জেলাতে। তিনি হলদিয়া বন্দরে কর্মরত ছিলেন।
অভিযোগকারী পক্ষের আইনজীবী স্বপনকুমার অধিকারী জানান, ২০০৬ সালের ৩১ অগস্ট হলদিয়া থানার বৈষ্ণবচক বাজারে ওই সিআইএসএফ জওয়ান দু’জনকে গুলি করে খুন করেছিল। তাছাড়াও ওই জওয়ানের গুলিতে এক ব্যক্তি আহত হন। বিচারক খুনের অপরাধে ওই জওয়ানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। তাছাড়াও অপর ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টার অপরাধে বিচারক আট বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনান। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানান অভিযুক্তের আইনজীবি হৃষীকেশ সুকুল।
২০০৬ সালের ৩১ অগস্ট সন্ধ্যার ঘটনা। অভিযোগকারী পক্ষের আইনজীবি স্বপনকুমার অধিকারী বলেন, “ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হলদিয়ার বৈষ্ণবচক বাজারে ওই সিআইএসএফ জওয়ান কিছু লোকজনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এর পরে আরও কিছু সিআইএসএফ জওয়ানকে তিনি সেখানে ডেকে পাঠান। তাঁর ফোন পেয়ে কয়েকজন জওয়ান সেখানে এসে গণ্ডগোল শুরু করেন। তখন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ধীমান প্রধান, শান্তি শাসমল, অশোক সামন্তরা গণ্ডগোল করতে নিষেধ করলে জওয়ানরা বলেন, আমাদের মারধর করার সময় তোমরা কোথায় ছিলে। সেই সময় ওই জওয়ান ধীমান রায়কে মাটিতে ফেলে তাঁর বুকে গুলি করেন। অশোক সামন্ত ও শান্তি শাসমল পালাতে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাঁদের তিনজনকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা ধীমানবাবু ও অশোকবাবুকে মৃত ঘোষণা করেন। যদিও অশোকবাবু বেঁচে যান। এ দিন জওয়ানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy