ঘাটাল শহরে চলছে তৃণমূলের ফ্লেক্স ছাপার কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
ভোট আর প্রচার সমার্থক। প্রযুক্তির রমরমা শুরু হওয়ার আগে দেওয়াল লিখন-বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারই ছিল রাজনৈতিক দলগুলির ভরসা। এখন সেই জায়গায় কদর বেড়েছে ফ্লেক্স, ফেস্টুনের। দিন যত এগোচ্ছে, জীবন-যাপনে গতি যত বাড়ছে ততই চাহিদা বাড়ছে এগুলির।
‘পরিবর্তিত’ সময়ে ফ্লেক্স-ফেস্টুন তৈরিতে ব্যস্ততা বাড়ছে দোকানের মালিকদের। নির্দিষ্ট সময়ে অর্ডার সরবরাহ করতে বাড়তি লোক নিয়ে প্রায় সারারাতই কাজ চলছে দোকানগুলিতে।
রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য, লোকসভা ভোটের এলাকা বড় হওয়ায় ফ্লেক্স-ফেস্টুনের চাহিদাও বেশি থাকে। কেননা, অতি অল্প সময়ে চাহিদা মতো এর যোগান মেলে। দামও সাধ্যের মধ্যে। প্রতি বর্গ ফুট ৭ থেকে ৮ টাকা। আর দলীয় পতাকাগুলির দাম থাকছে নূন্যতম ১৫ টাকা। শুধু তাই নয়, এর ফলে দেওয়াল লেখার মতো ঝক্কির কাজ যেমন এড়ানো যায়, তেমনি প্রচারও দৃষ্টিনন্দন হয় বলে দাবি রাজনৈতিক দলগুলির। আসে অভিনবত্বও।
ফ্লেক্স-ফেস্টুন তৈরির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, বাড়তি কাজের বিনিময়ে আয় বাড়ছে তাঁদেরও। তবে চাহিদা বেশি থাকায় নির্দিষ্ট দিনে সাপ্লাই করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে দোকনের মালিকদের।
এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন অরুণ মাঝি। ঘাটালে দোকান রয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, “দোকান প্রায় দিন কুড়ি হল বন্ধই হয়নি বলা চলে। সব সময়ই কাজ হচ্ছে।” সকাল-রাত-দুপুর তিনটি ভাগে প্রায় জনা তিরিশেক শ্রমিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কাজ করছেন। অরুণবাবুর কথায়, “এমনিতে দু’জন কাজ করেন। অর্ডার বেশি থাকায় বাকিদের নেওয়া হয়েছে।” একই চিত্র ঘাটালের অন্য দোকানগুলিরও। অন্য এক দোকান মালিক তারক মাইতির কথায়, “ইতিমধ্যেই প্রায় লক্ষাধিক ফ্লেক্স, ফেস্টুন ছাপা হয়ে গিয়েছে। এখনও অর্ডার আছে।” অর্ডার সরবরাহ দিতে হিমসিম খাচ্ছেন গৌর পালও। তাঁর কথায়, “পতাকা, ফ্লেক্সই বেশি তৈরি হচ্ছে। আমাদের দোকানে বাড়তি প্রায় শ’খানেক মানুষ কাজ করছেন। তাতেও সমাল দেওয়া যাচ্ছে না!”
সব মিলিয়ে জমে গিয়েছে প্রচার, তাতে বাড়তি রং নিয়ে হাজির ফ্লেক্স-ফেস্টুনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy