খেলতে খেলতে একটি গরুকে পুকুরে নামিয়ে উত্যক্ত করেছিল চার কিশোর। সেই ‘অপরাধে’ তাদের মারধর করে, মাথার চুল কামিয়ে ‘শাস্তি’ দিলেন গরুর মালিক। বুধবার রাতে খড়্গপুর শহরের সাউথ ইন্দা থেকে ওই চার কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে গরুর মালিক বিনোদ মহেশ, তাঁর দুই ছেলে সুজিত ও হারু এবং নাপিত পুণ্য মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই চার কিশোরের প্রাথমিক চিকিৎসাও করানো হয় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে পাড়াতেই খেলছিল বছর এগারোর সুমিত সিংহ, বছর চোদ্দোর আশিস দত্ত, প্রীতম দত্ত এবং বছর ষোলোর রবি সামন্ত। তখনই বিনোদ মহেশের একটি গরুকে বাঁশ দিয়ে খোঁচায় তারা। গরুটি পুকুরে নেমে যায়। পরে গরুটি জল থেকে উঠেও পড়ে। এ সব কাণ্ড দেখে ফেলেন বিনোদের বোন শান্ত মহেশ। তিনি দাদাকে সব জানালে বিনোদ ও তাঁর দুই ছেলে ওই কিশোরদের বাড়িতে এসে তাদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপর বেঁধে রেখে চলে মারধর। আশিসের মা মিঠু দত্ত বহু অনুরোধ করলেও কাউকে ছাড়েননি বিনোদ। মিঠুদেবী বলেন, “আমি বিনোদের হাতে-পায়ে ধরেছি। তা-ও ছাড়েনি। টাকা চাইছিল। তা-ও দেবো বলি। তবু আমার ছেলে-সহ চারজনকে মারধর করে।” সুমিতের মা রেখা কউর, রবির মা লক্ষ্মী সামন্ত বলেন, “গরুটি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ১ হাজার টাকা করে দাবি করেছিল। অথচ গরুটি সুস্থ ছিল। তবু আমরা কিছু টাকা দিতে রাজি হই। তারপরেও ছেলেদের মারধর করছিল।”
এরপর ডাকা হয় নাপিত পূণ্য মান্নাকে। স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা এসে আটকানোর চেষ্টা করলেও থামেননি বিনোদ। উল্টে নাপিত দিয়ে ওই কিশোরদের চুল কামিয়ে দেওয়া হয়। রাত ন’টা পর্যন্ত এই নির্যাতন চলে বলে অভিযোগ। এরপর ক্লাব সদস্যরা থানায় জানালে আসে পুলিশ। ওই কিশোরদের উদ্ধার করা হয়। রাত ১২টা নাগাদ থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করে।
আশিস, রবিদের মাথার চুল খাবলা খাবলা করে কামানো। এ দিন থানা থেকে বেরিয়ে ওরা বলে, “গরুটা সামনে চলে এসেছিল। বাঁশ দিয়ে সরাতে গেলে জলে পড়ে যায়। বিনোদকাকু কিছুই শুনল না। আটকে রেখে মারধর করল।” এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। স্থানীয় কাউন্সিলর তুষার চৌধুরী বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।”
খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর জানান, টাউন থানার মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মিছিল। সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে সভা- মিছিল করে এসইউসির যুব সংগঠন ডিওয়াইও। অন্যত্রও দিনটি পালিত হয়। এদিন সকালে মেদিনীপুর স্টেশন চত্বর থেকে ডিওয়াইওর এক মিছিল বেরোয়। পরে তা বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে এলআইসি মোড়ে এসে পৌঁছয়। এখানে সভা হয়। ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক সূর্য পড়িয়া।