Advertisement
E-Paper

গরমে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ভিড় জমাতে তৎপরতা তুঙ্গে

রেকর্ড গরমেও মুখ্যমন্ত্রীর সভায় রেকর্ড মানুষের জমায়েত করে তা প্রমাণ করতে মরিয়া তৃণমূল। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তিনটি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুরে লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই মুখ্যমন্ত্রীর শেষ সভা। ভোট যত এগিয়ে আসছে উত্তেজনার পারদ ততই বাড়ছে। আর পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে প্রকৃতির উত্তাপও। মুখ্যমন্ত্রীর সভার সময়ও ভরদুপুরে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “তবু জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতে কাতারে কাতারে মানুষ সভায় উপস্থিত হবেন, এটা বলতে পারি। আমরা সকলে একটি পরামর্শই দিচ্ছি, সঙ্গে জল ও ছাতা রাখবেন।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৪ ০০:৫০
চলছে মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি

চলছে মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি

রেকর্ড গরমেও মুখ্যমন্ত্রীর সভায় রেকর্ড মানুষের জমায়েত করে তা প্রমাণ করতে মরিয়া তৃণমূল। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তিনটি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুরে লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই মুখ্যমন্ত্রীর শেষ সভা। ভোট যত এগিয়ে আসছে উত্তেজনার পারদ ততই বাড়ছে। আর পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে প্রকৃতির উত্তাপও। মুখ্যমন্ত্রীর সভার সময়ও ভরদুপুরে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “তবু জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতে কাতারে কাতারে মানুষ সভায় উপস্থিত হবেন, এটা বলতে পারি। আমরা সকলে একটি পরামর্শই দিচ্ছি, সঙ্গে জল ও ছাতা রাখবেন।”

শুক্রবারের প্রথম সভাটি হবে বেলপাহাড়ি স্কুল মাঠে, দুপুর ১টায়। দ্বিতীয় সভাটি হবে মেদিনীপুর শহরের কলেজিয়েট স্কুল ও কলেজ মাঠে, দুপুর ২ টোয়। আর দুপুর ৩টে নাগাদ তৃতীয় সভাটি হবে খড়্গপুর কলেজ মাঠে। তার আগের দিন অর্থাৎ আজ মুকুল রায়ও জেলায় তিনটি সভা করবেন। সঙ্গে থাকবেন তারকা সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীও। তিনি ইতিমধ্যেই জেলায় তিনটি সভা করেও গিয়েছেন। ফের গোয়ালতোড়, ডেবরা-সহ তিন জায়গায় তিনটি সভা করার কথা। এই গরমে একের পর এক সভা হলে মানুষ চড়া রোদে আসবেন কী করে? এ নিয়ে চিন্তিত দলীয় নেতারাই। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম সমস্যাটি হল, এই সময় ধান কাটা চলছে। কাজ ছেড়ে সহজে কেউ আসতে চাইবেন না। দ্বিতীয় হল, প্রচণ্ড দাবদাহ। এছাড়াও নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই দলীয় একনিষ্ঠ কর্মী সমর্থকেরাও নিজেদের এলাকা ছাড়তে চাইছেন না। তার উপর উপর্যুপরি সভা। ফলে মানুষের জমায়েত করা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সভায় মানুষের ভিড় না হলে আবার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। তাই দলীয় নেতৃত্ব সভা সফল করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। বিশেষত, মুখ্যমন্ত্রীর সভা। এবার তিনটি সভাই হচ্ছে বেশ বড় মাঠে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দলীয় নেতৃত্বকে পাশ করলে হলেও মাঠ ভরাতে হবে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাই শুধু শহর নয়, আশপাশের ব্লক থেকেও লোক নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর শহরের সভায় মেদিনীপুর শহরের পাশাপাশি সদর ব্লক ও লাগোয়া কেশপুর, শালবনি থেকেও লোক নিয়ে আসা হবে। আর খড়্গপুরের সভায় খড়্গপুর শঙরের পাশাপাশি খড়্গপুর-১ ও ২, কেশিয়াড়ি ও ডেবরা থেকেও লোক নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।

মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ছে মেদিনীপুর ও খড়্গপুর পুরসভা। দু’টি পুরসভার মধ্যে খড়্গপুর প্রথমে তৃণমূলের দখলে থাকলেও পরে হাতছাড়া হয়। মেদিনীপুর পুরসভায় মাথায় মাথায় ১৩টি ওয়ার্ড দখল করে পুর বোর্ড দখল করেছে তৃণমূল। এই লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভার মধ্যে মেদিনীপুর ও এগরা - দু’টি মাত্র তৃণমূলের দখলে। খড়্গপুর দখলে রয়েছে কংগ্রেসের। বাকি চারটি সিপিএমের দখলে। শহরেও ভোট কম পেলে এই কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী সন্ধ্যা রায়কে বেগ পেতে হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় দলীয় নেতৃত্ব। যাতে এই ধরনের সমস্যা না দেখা দেয়, যাতে সহজ জয় আনা যায়, সে জন্যই শেষ বেলায় মুখ্যমন্ত্রী দু’টি শহরে দু’টি সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভোটের ফলই অবশ্য বলতে পারবে, মুখ্যমন্ত্রীর শেষ বেলার সভা দলীয় প্রার্থীর জয়ের সুনিশ্চিত করতে কতটা কাজ দিল।

lok sabha election mamata bandyopadhyay election campeign
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy