রকি খুনে মূল অভিযুক্ত অশোক শর্মাকে এবার ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলায় এক ব্যবসায়ীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি পুরনো মামলায় যুক্ত করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। ঘাটশিলা আদালতের প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম সাব জেল থেকে অশোককে ঘাটশিলায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিনই তাঁকে ঘাটশিলা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে ঘাটশিলা রেল স্টেশনের কাছে অশোক অগ্রবাল নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন অশোক শর্মা। কিন্তু ‘ফেরার’ অশোককে গত আট বছরে গ্রেফতার করতে পারেনি ঘাটশিলা থানার পুলিশ। মামলায় আদালতে চার্জশিট দায়ের হয়েছে। ঘাটশিলার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলাটির বিচারও শুরু হয়েছে।
এ দিন ঘাটশিলার ওই আদালতে অশোক শর্মাকে হাজির করা হলে বিচারক বরুণকুমার মিশ্র অভিযুক্তকে আট দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১১ জুন অশোক শর্মাকে ফের ঘাটশিলা আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ দিন ঝাড়গ্রাম আদালতকে না জানিয়েই সরাসরি ঘাটশিলা থানার পুলিশ অশোক শর্মাকে ঝাড়গ্রাম উপ-সংশোধনাগার থেকে নিয়ে চলে যায়। আইনজীবী মহলের একাংশের বক্তব্য, অশোক শর্মা ঝাড়গ্রাম আদালতের নির্দেশে ঝাড়গ্রাম উপ-সংশোধনাগারে ছিলেন। তাই ঝাড়গ্রাম আদালতকে না জানিয়ে কীভাবে ঝাড়গ্রাম উপ-সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ অশোক শর্মাকে ঘাটশিলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলেন তার আইনগত বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী মহল।
গত ২৫ এপ্রিল ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা পেশায় ইমারতি সরঞ্জামের ব্যবসায়ী সৌরভ অগ্রবাল ওরফে রকি। গত ৬ মে ওড়িশার গঞ্জাম জেলার রম্ভা এলাকায় রকির মৃতদেহ উদ্ধার করে রম্ভা থানার পুলিশ। রকিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগে অশোক শর্মা-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রকি খুনের মামলায় গত সোমবার অশোক শর্মা-সহ ৬ অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হয়েছিল। ছয় অভিযুক্তকেই চোদ্দো দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত। আগামী ১৬ জুন অশোক শর্মাকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করানোর কথা। পেশায় ঠিকাদার অশোক শর্মা ইতিপূর্বে নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি পুলিশের। কয়েক বছর আগে ঘাটশিলায় বুলু চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনাতেও অশোক শর্মা জড়িক বলে পুলিশের দাবি। ওই অপহৃত ব্যক্তির আজ পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy