Advertisement
E-Paper

চণ্ডীপুরে সাংসদ কার্যালয়, জনসংযোগে জোর শিশিরের

ব্যতিক্রম শুধু কাঁথির চণ্ডীপুর। এই এলাকা থেকেই সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে সবচেয়ে কম ভোট এসেছে তাঁর ঝুলিতে! ‘হারানো ভোট’ ফিরিয়ে এনে দলকে আরও শক্ত জমির উপরে দাঁড় করাতে এ বার সেই চণ্ডীপুরের এক ভাড়া বাড়িতে ‘সাংসদ কার্যালয়’ খুললেন এলাকার তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০১
সাংসদ কার্যালয় উদ্বোধনে শিশির অধিকারী। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।

সাংসদ কার্যালয় উদ্বোধনে শিশির অধিকারী। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।

ব্যতিক্রম শুধু কাঁথির চণ্ডীপুর। এই এলাকা থেকেই সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে সবচেয়ে কম ভোট এসেছে তাঁর ঝুলিতে! ‘হারানো ভোট’ ফিরিয়ে এনে দলকে আরও শক্ত জমির উপরে দাঁড় করাতে এ বার সেই চণ্ডীপুরের এক ভাড়া বাড়িতে ‘সাংসদ কার্যালয়’ খুললেন এলাকার তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী।

সোমবার বিকেলে চণ্ডীপুর বাজারে দিঘা-মেচেদা সড়কের ধারে সেই কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন শিশিরবাবু। সেখানে বক্তৃতায় বললেন, “একটা টেন্ডার হলে ঠিকাদারকে ধরে এনে বলা হয় ৬ শতাংশ কমিশন দিতে হবে। ঠিকাদার ফোন করে বলে বাঁচান বাঁচান! একটা চাকরি এলে বলে ১০ লাখ, ২০ লাখ টাকা দিতে হবে... কে নিল টাকা, এর মধ্যে কে আছে... ৫৮ বছর রাজনীতি করছি। এ সব শুনিনি।”

এলাকার সাংসদ হিসেবে চণ্ডীপুর বিধানসভা এলাকার মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় ‘যোগাযোগ’ তৈরিতে সাংসদ কার্যালয় খোলার উদ্যোগ বলে স্পষ্ট করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের এই সভাপতি। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রামনগরে সাংসদ কার্যালয় খুলেছেন তিনি। তবে সোমবার এই কার্যালয় খোলার নেপথ্যে জেলায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ছায়াও দেখছে জেলার রাজনৈতিক মহল।

এ দিন তার সমর্থনও মিলেছে শিশিরবাবুর কথায়। তিনি বলেন, “চণ্ডীপুর কারও জমিদারি নয়। একদিন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চণ্ডীপুরে এসে অপমানিত হয়েছিলেন।” কারও নাম না করে তিনি বলেন, “সে দিন অনেককে খুঁজে পাইনি। পরে নেত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এই সব লোককে কেন নমিনেশন দিলেন!”

শিশিরবাবু কারও নাম করেননি। তবে তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, তাঁর ইঙ্গিত শিশিরবাবুদের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্যের দিকে। এ দিন অবশ্য তিনি ছিলেন না।

এ দিন শিশিরবাবু আরও অভিযোগ করেন, এক সময় তাঁর সাংসদ পুত্র শুভেন্দু অধিকারীকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কেমন? তিনি বলেন, “লক্ষ্মণ শেঠের থেকে পয়সা নিয়ে শুভেন্দুর গতিপথ কোন দিক, তা বলার চেষ্টা হয়েছিল।” তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “কে সেই হরিদাস পাল? তাঁর যত বড় ক্ষমতাই হোক না কেন, আমাদের দায়িত্ব নিয়ে তাঁকে সরিয়ে ফেলতে হবে।” এ দিনের সভায় ছিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি শুধু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে যে উন্নয়ন চলছে, তার সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে।”

সভায় তাঁরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ফিরোজা বিবি, অর্ধেন্দু মাইতি, সুকুমার দে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান প্রমুখ।

tamluk chandipur tmc shishir adhikari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy