Advertisement
E-Paper

জানলা গলে পালাল বন্দি

হাসপাতালের শৌচাগারে একটি জানলায় গ্রিল ছিল না। সেটি গলেই পালিয়ে গেল বিচারাধীন এক বন্দি। পুলিশ পাহারা থাকা সত্ত্বেও শনিবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে তমলুক জেলা হাসপাতালে। পলাতক শেখ রাজু চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বিচারাধীন বন্দি পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”

নিজস্ব সংবাদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:১২

হাসপাতালের শৌচাগারে একটি জানলায় গ্রিল ছিল না। সেটি গলেই পালিয়ে গেল বিচারাধীন এক বন্দি। পুলিশ পাহারা থাকা সত্ত্বেও শনিবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে তমলুক জেলা হাসপাতালে। পলাতক শেখ রাজু চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বিচারাধীন বন্দি পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নার গড়াসাফাত গ্রামের বাসিন্দা বছর চল্লিশের শেখ রাজু গত ১৩ জানুয়ারি গভীর রাতে আরও তিন সঙ্গীর সঙ্গে তমলুকের শ্রীরামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দোবান্দি বাজারে একটি কাঁসা-পিতল ও লোহার সামগ্রীর দোকানে চুরি করতে ঢুকেছিল। এলাকার লোকজনই ধাওয়া করে রাজুকে ধরে ফেলে। তাকে মারধরও করা হয়। পরে তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনে। চুরির অভিযোগে রাজুকে গ্রেফতার করা হয়। তমলুক মহকুমা আদালত তাকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠায়।

মারধরে জখম হয়েছিল রাজু। তার পায়ে চোট লাগে। সে জন্যই গত ১৭ জানুয়ারি তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় রাজুকে। জেলা হাসপাতালের প্রিজন সেলে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন ছিল সে। এ দিন বিকেল তিনটে নাগাদ রাজু শৌচাগারে যাবে বলে। পাহারায় থাকা পুলিশকর্মীরা তাকে প্রিজন সেল সংলগ্ন মেল মেডিক্যাল বিভাগের শৌচাগারে নিয়ে যায়। রাজু ভিতরে ঢুকলে শৌচাগারের দরজার বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন পুলিশকর্মীরা। সেই সুযোগে শৌচাগারের গ্রিলবিহীন জানলা গলে পালিয়ে যায় রাজু। শৌচাগারের ভিতরে কল খুলে দেওয়ায় জল পড়ার শব্দে পুলিশকর্মীরা বুঝতে পারেননি অভিযুক্ত পালিয়েছে।

হাসপাতালের পিছনের দিক দিয়ে পালানোর সময় আইসোলেশন ওয়ার্ডের এক কর্মী দেখতে পান। তিনিই ঘটনার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। পুলিশকর্মীরা শৌচাগারের দরজা খুলে দেখেন, রাজু পালিয়েছে। খবর পেয়ে তমলুক থানা-সহ জেলা পুলিশ লাইন থেকে পুলিশ বাহিনী আসে। জেলা হাসপাতাল কর্মীদের একাংশের মতে, হাসপাতালের প্রিজন সেলে আলাদা শৌচাগার নেই তাই পাশের মেল মেডিক্যাল বিভাগের শৌচাগারে নিয়ে যেতে হয় বিচারাধীন ওই বন্দিকে। সম্প্রতি ওই শৌচাগারে সংস্কার কাজ হলেও একটি জানলার গ্রিল ছিল না। সেটি গলেই পালিয়েছে রাজু।

tamluk inmate tamluk zilla hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy