চলছে প্রচার।—নিজস্ব চিত্র।
চলতি মাসে জেলা সফরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগেই কৃষকদের হাতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সম্প্রতি ১০ জুলাই দিনটি ‘পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি দফতরের উদ্যোগে এদিনই বকেয়া কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিলির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, জেলার মোট ৬ লক্ষ কৃষককে এই কার্ড দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। জুন মাস পর্যন্ত বিলি হওয়া কার্ডের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৩১। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার কার্ড নানা কারণে কৃষকদের হাতে আসেনি। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক ও সমবায় সমিতিগুলির কাছে রয়ে গিয়েছে। আবার নথি সংক্রান্ত নানা সমস্যায় কিছু কার্ড তৈরি করাই হয়নি। বৃহস্পতিবার সেই কার্ডগুলি ব্যাঙ্ক ও সমিতি থেকে বিলি করা হবে।
চাষে স্বল্প সুদে ঋণ, ফসলের বিমা, কৃষকের দুর্ঘটনাজনিত বিমা, সময়মতো এসবের সুবিধা পাওয়া নিশ্চিত করা-সহ নানা লক্ষে ‘নাবার্ড’-এর উদ্যোগে ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই কার্ডের প্রকল্প চালু করে। কিন্তু নানা কারণে প্রকল্পের অগ্রগতি না হওয়ায় এই প্রকল্পের সুবিধা জেলার সাধারণ কৃষকরা পাচ্ছিলেন না। তাই জেলার সব কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় আনতে ও প্রকল্পে গতি সঞ্চার করতে রাজ্য সরকার ২০১১ সালে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ফার্মার্স ক্রেডিট মিশন’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রশাসনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০১০-১১ সাল পর্যন্ত জেলায় এই কার্ড প্রাপকদের সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ২০ হাজার ৭৮৮। সেখানে ২০১১ সাল থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত মাত্র তিন বছরে ওই কার্ড পেয়েছেন ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৩ জন। জেলা প্রশাসন ও কৃষি দফতরের দাবি, এ ক্ষেত্রে সারা রাজ্যের তুলনায়ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাফল্যের হার অনেক বেশি। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাস পর্যন্ত সারা রাজ্যে ৫৮ লক্ষ কার্ড বিলি হয়েছে। সেখানে এই জেলায় বিলি হওয়া কার্ডের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লক্ষ।
লক্ষ্য পূরণ করতে ও কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দিবসকে সফল করতে ইতিমধ্যেই ‘ট্যাবলো’ ও মাইক সহযোগে প্রচার গাড়ি জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পরিক্রমা করেছে। তাছাড়াও কৃষি দফতরের উদ্যোগে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ও কৃষি প্রযুক্তি সহায়কদের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে প্রচার। রামনগর ১, এগরা ২, হলদিয়া ও মহিষাদল ব্লক ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে। তবে পটাশপুর ২, তমলুক, সুতাহাটা, কাঁথি ২, শহীদ মাতঙ্গিনী, ময়না, এগরা ১ ব্লকগুলি সাফল্যের হারে নব্বই শতাংশের নীচে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy