বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কর্মীদের টানাপড়েনে শুক্রবারও বন্ধ থাকল হলদিয়া শহরে জঞ্জাল সাফাই। বেতন পুনর্নবীকরণ সংক্রান্ত চুক্তি-সহ একাধিক দাবিতে মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করে কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁদের গাড়ির তেল না পাওয়ায় ও সহযোগিতা না করায় তাঁরা কাজ শুরু করতে পারেনি। যদিও শুক্রবার বিকেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার রাজেশকুমার মিশ্র পাল্টা দাবি করেন, তাঁরা সব সময় কাজ করার জন্য তৈরি আছেন। গাড়ির তেল না দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। পাম্পে গাড়ি ননিয়ে গেলেই কর্মীরা তেল পাবে। কিন্তু জনা দশেক কর্মী নানা ভাবে কাজে বাধা দিচ্ছে। ওদের কারণেই কাজে সমস্যা হচ্ছে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সংস্থার ১০ জন কর্মীকে তিনি শো-কজ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে বলেছেন। সদুত্তর না পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজেশবাবুর দাবি, শনিবার সকাল থেকেই তাঁরা কাজ শুরু করার চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, “ওই জনা দশেক কর্মী যাতে কাজে বাধা দিতে না পারেন, সে জন্য পুরসভার চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি।” কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সম্পর্কে তাঁরপ বক্তব্য, “কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাতেই পারেন। কিন্তু সংস্থা ক্ষতির মধ্যে দিয়ে চললে বেতন বাড়বে কী করে?”
মঙ্গলবার থেকে সাফাই না হওয়ায় ভ্যাটে স্তূপীকৃত হচ্ছে আবর্জনা। হলদিয়া পুরসভা সূত্রে খবরছ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার (সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট)-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থা পুরসভার থেকে প্রতি টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পিছু ১ হাজার দু’শো টাকা করে পায়। এই টাকার পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল শুক্রবার সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদবাবু জানান, তাঁরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে যুক্ত সংস্থার ‘সার্ভিস চার্জ’ বাড়াতে না পারায় কর্মীদের বেতন বাড়াতে পারছিল না। তিনি বলেন, “ওই সংস্থাকে এ দিন ১০-১৫ শতাংশ পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর বিষয়ে বলেছি। কিন্তু এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। ওই সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা মেটাবে বলে জানিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy